যদি কোন এক কৃষ্ণ পক্ষের রাতে-
তুমি আমার পাশে বসো,
অন্যদের মতো হয়তো শুল্ক পক্ষের পূর্ণিমার গান-
তোমায় শোনাতে পারবো না।


ওই মুখটুকু দেখলেই যে আমার চঞ্চলতা বাড়ে,
বুকে ব্যথা হয়,দীর্ঘশ্বাস জমে।
ভাষায় জড়তা আসে,ছুঁয়ে যায় শত অবাঞ্ছিত শব্দ-
সেসব ভুল মেনে নিয়েও কি আমার কথা শুনবে?


তাহলে অবশ্যই তোমাকে শোনাবো,
সেসব তুমিহীনা দিনের গল্প!
রাতের আলেয়ার সাথে জেগেছিলাম,বালিশে মুখ গুঁজে।
মাথা তুলে তারা গুনার ইচ্ছেটুকু পর্যন্ত হয়নি।
মাঝে মাঝেই ভোররাতে কানে শিস তুলেছে দোয়েল;
শেষ বারের মতো চেয়ে দেখিনি দীর্ঘ অবসাদের রাত।
কাঠমল্লিকায় গেঁথে রেখেছিলাম অপার স্বপ্ন!
সুবাসে মিশে প্রতি নিঃশ্বাসে ছিলো তোমার ঘ্রাণ।
আমার জীবনে মাঘের গাঢ় কুয়াশার মতো-
নিগূঢ় রহস্য ছিলে;তবু যেন স্বাদ ছিলো রোদ্দুর পৃথিবীর।


অবাক হয়েছি বারংবার, ভেবে মোহ মায়া বিষে-
তারার মতো নিকষ আঁধারে মিশে;
সেসব রজনী ও আমাকে ঘিরে থাকা নগরীতে-
অন্ধের মতো কিভাবে খুঁজেছি তোমায়!
চন্দন সুবাসের মত বুঁদ হয়েছিলাম-
দূর হতে;কোনকালে কার্তিকে বুঝি এতো উৎসব হয়নি-
যতটা হয়েছিলো এই বুকে,নিথর আবেগে।


ক্ষণে ক্ষণে যত সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে-
হৃদয়ে,মনে প্রাণে চেতনায়।
ততই হাজার বাকবিতণ্ডা,প্রতিকূলতার গ্রাসে-
ডুবে গেছে মন,নিভে গেছে আলো।
পাওয়ার জন্য ভালোবাসায় মাতিনি কখনো-
লিখিনি কাব্য,গাইনি গান।
বুকের অন্তরীপ আলোড়ন কি করে বলে কয়ে-
ঘুচাতাম দূরত্বের অবসান?
চেয়েছিলাম নশ্বর এই পৃথিবীর-
পথে পথে ঘুরেফিরে, শুধু তোমাকে ভালোবেসে যেতে।



২৭আষাঢ় ১৪২৭ || ১২ জুলাই ২০২০
নারায়নগঞ্জ