শতাব্দীর ঘুন পোকারা খেলা করে,
নিবিড়ে-নিথরে, তাদের অঝরে অহরহ-
প্রাণ খেলা করে কীর্তনখোলার দু পাড় ধরে,
ছুটে বেড়ায় অলক্ষে থাকা ভোরের কুকুরে।


ক্ষনে ক্ষনে দেখি জোনাকির মতো বিরল নক্ষত্রগুলি
কিভাবে আকাশে লেপ্টে রয়!
তখন কোন এক অশ্বথের ডাল থেকে সুবাতাস ছুটে এলে-
দক্ষিণের কোন গেয়ো গ্রাম্য তরুণীর বিয়েতে,
গরু জবেহ, ছানা-মিষ্টান্নের মহাযজ্ঞ ফেলে
কে আসিবে এই তীরে, দুই এক ছাটা তরুবৃক্ষ প্রাণ মন্থনে?
কে আসিবে বিদ্রোহ শেষে যাপিত পরাজয়-জয়ে
উল্লাসকাটা সংশয় বিষ্ময়ে?
এক বুক গভীর শ্বাস টেনে নিতে যতটুকু শক্তি লাগে-
যদি হয় তার সঞ্চয়; যেনে?
কে আসিবে তীরে, দু তীরের মাঝামাঝি দ্রাঘিমা রেখা টেনে-
জয়-পরাজয়ের সমোরায় সঙ্গমে?


নিভৃত নিশিথে যে গিয়েছে লোকালয় ছেড়ে-
লোকালয় ফেলে গভীর অতীতে।
সেও কি আসিবে না যদি জানে-
এখানে সমুদ্র ঢেউ-গাছের পাতায় পাতায় দোল দেয়,
দোল দেয় অন্তরের কোলহলে,
যদি জানে লোকালয়ের চাইতে-
জল-নদী-তরুবন বেশি ভালোবাসে।
ভালোবাসে, প্রাণের মাঝে প্রাণ ঢালিতে সুপ্রতিম অঙ্গনে।


প্রাণ খেলা করে কীর্তনখোলার দু পাড় ধরে,
রুচিতে- সূচীতে, নির্জন নীলিশে,
খাটিবন পল্লবে, উড়তে না জানা শালিকে,
প্রতিটি বসতি পাড়ায়, স্বভয়ে স্মরণে অকাতারে।


শুক্রবার,
০৪ ভাদ্র ১৪২৯ | ১৯ আগস্ট ২০২২
বালিয়াতলি, পটুয়াখালী।