শেকড়-বাকড়ে খুঁজিয়া বেড়ায় স্বর্ণলতার চুপ,
এপারে-ওপারে নিমিষে কোথা কাকতাড়ু নির্ঘুম।
এ বেলায়  হারিয়ে ও বেলায় চরণ লুটে,
ভুল ভাঙার মিথ্যে-প্রয়াত হাসি কি ফুটে?


কোন সুখেতে জড়ালে তুমি-
অন্য বৃক্ষ দেহে?
নিজ আলোতে হওনি প্রকাশ,
অকথ্য দুঃখ মোহে।


তোমার জন্যে কি রস নেই-
এঁটেল,দোআঁশের বুকে?
যেথায় বাড়ছে ধান,গম-
আত্ম শোষণ সুখে।


জ্বলো তুষের অনলে কি পাও?
শুধু বেঁচে থাকার নিঃশ্বাস!
ফিরে এসো মাতৃ কোলে,
যে দিয়েছে অপার মহিমার আশ্বাস।


জানি এখন তা পারবে না,
শত বছরের বিবর্তন।
তবু ভেবে দেখো কেমন আছো?
পরের দখলে নিজেরে যতন।


দাড়াও আয়নার দেবালয়,
চিতার চোখে দেখো নিজেরে!
পুড়ো না মনস্তাপে,
ভাবো সে বসে আছে অদূরে।


তোমার খোজ দিন-রাত্রি,
দুঃখী চাষার বুকে-
আড়ালে কাঁদে গর্ব জননী,
বোধহয় আছে খোকা সুখে!


৭ ফাল্গুন ১৪২৬
নারায়ণগঞ্জ