এক ক্ষুদ্র ভাইরাস কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে-
জনগণ;পাড়া থেকে নগর ছাড়িয়ে,শহর থেকে-
বিশাল এই পৃথিবীর পথে পথে।
এই উপভোগ্য নাটক শুরু হয়েছে-
অন্যতম এই বদ্বীপে;কুকুরের মতো টানাপোড়ায়-
পতিত নগরের শ্রমজীবী মানুষগুলো,
তবু হুশ ফিরেনি জনগণের কিংবা জাগরণের।
অভুক্ত মুখে হাত পেতে বসে আছে,
কাঙাল,মুচি,ভ্যানচালক ও দিনমুজুর।
এই খেটে খাওয়া মানুষ গুলো যেনো-
কাজ নেই বলে ভিখারি হয়ে গেছে।
খাবার নেই ঘরে,রসিক প্রিয় দানভীরদের ছবির ভয়ে;
মুখ বুঝে ঘরে কোণে মাথা ঠুকছে মধ্যবিত্ত!
এই গোটা দেশ,নগর,রাজধানী সব যেনো ভিখারি;
চন্ডালের ঘরে আগেও ছিলো না আহার-
আজও নেই;সরকারি অনুদানের বস্তা পড়ে থাকে,
রসিক দানভীরদের চালা ঘরে।
এ আর ঘর নেই;মর্গ হয়ে গেছে,
লোভ আর অমানবিকতা ছেয়ে গেছে মস্তিষ্ক!
মায়া উঠে গেছে ভুবন থেকে,তাই-
ভুবনেশ্বরও শূন্য করে দিতে চায় ধরা।
ঘর নেই,আহার নেই,বস্ত্র নেই-
তারাও আজ অবরুদ্ধ;তবু বাঁচতে চায়।
বাঁচতে চায় রোগী,বাঁচতে চায় ডাক্তার।
এতো মানুষ,এতো জনবলকে মহামারি হতে,
বাঁচাবে কে?পথ ভোলা পথিকের মতো-
ডাক্তার রোগীকে চিকিৎসা দেয় না,
ডাক্তার,ডাক্তারকে দেখে না।
কে কাকে বাঁচাবে,সবাই যে আজ বাঁচতে চায়।
এই বাঁচা মরার খেলা শেষ হবে কবে?


(অসমাপ্ত)


০৩ বৈশাখ ১৪২৭
নারায়ণগঞ্জ