আমারও তো জন্মানোর কথা ছিল-
বিস্তর চারণ ভূমিতে।
বৃদ্ধির সাথে সাথে দেহ এলিয়ে দিতাম-
দখিনা বাতাসে; ছড়াতাম সবুজের মায়া।  


জন্মে দেখি বেঁচে থাকার ঠাইটুকু বাদে-
মাথার উপর আবদ্ধ আকাশ।
মা ভালো নেই,
বাবা গত হয়েছে কবেই,
ভাইয়ের নিথর দেহ পড়ে রয় দেখে-
ছেঁড়া পলিথিন উড়ে এসে ঢেকে দেয়।


জন্মে দেখি বেঁচে থাকার ঠাইটুকু বাদে-
মাটি চিঁড়ে শিকড় ছড়ানো নিষেধ।
মুক্ত আকাশের দিকে তাকালে,
ভারী পাথর টুকরো চেপে ধরে শ্বাস।
অথচ আমারো তো জন্মানোর কথা ছিল-
সুবিশাল নরম দোআঁশের উদ্যানে,
বিস্তর শিশুদের খেলার মাঠে,
কিংবা কলোনির কোন ছোট্ট পার্কে।
বাধাহীন বেড়ে উঠতাম,
শিশুদের দুরন্ত শৈশব দেখে দেখে।
যৌবনের চকচকে রঙের লোভে-
কোন নীল মর্ফো বুঝি খানিক এসে ছুঁয়ে যেতো আমায়।


কিন্তু আমি জন্মালাম অনুর্বর প্রস্তরের বুকে,
জন্মই আমাকে বলে দেয়-এই জীবন সুখের নয়।
শুষ্ক মাটির বুক চিঁড়ে বেড়ে ওঠা আমাদের-
গোটা জীবন যুদ্ধ জীবন!  
সংগ্রামের মুখে বেড়ে ওঠা এ জীবনেও
তোমাদের আঘাত আসে।
শেষ ঠাইটুকু কেড়ে নিবে তাই কত তোরজোড়!
তোমাদের জীবন; সুবাসিত রঙিন ফলে ফুলে-
ভেবেছো কি তাই, খুব সহজে তাড়াবে নির্মূলে?


০৭ জৈষ্ঠ্য ১৪২৮ / ২১ মে ২০২১ / শুক্রবার
নারায়ণগঞ্জ