প্রিয় সুকান্ত,
কেমন আছেন বলুন?
আর আছেনই বা কোথায়?
পৃথিবীকে নবজাতকের বাসযোগ্য করার দৃঢ় প্রত্যয় ছিলো বলেই বোধহয়,
এত দ্রুত ছাড়পত্র পেতে হলো আপনায়।
জানেন? আমি আপনার একজন অতি অনুরাগী,
দিয়াশলাইয়ের কাঠির মতই ছিলাম ভীষণ আত্মত্যাগী।
আঠার বছর বয়সকে গড়েছিলাম কী ভীষণ স্পর্ধায়!
রবীন্দ্রসুর স্পন্দন দিতো এই অস্থি-রক্ত-মজ্জায়।
সিঁড়ির মত পদাঘাতগুলো বুকে সয়ে সকলকে নিতাম সুউচ্চ চূড়ায়,
জানেন? একুশ বছর বয়সেই গড়েছিলাম এক কনভয়,
সোনালি অতীত আমার খেলে যায় স্মৃতির পাতায়।
আপনারই মতো দেশকে ভালোবেসে,
নির্বাসিত করেছিলাম যাতনাগুলো ভীষণ শব্দে হেসে।
দিনশেষে আপনার সেই মোরগের মতই শোভাবর্ধন করি নিজেই খাবার সেজে,
কী অপরিমেয় অপমানের গ্লানি মেখে,তারপরেও কী ভীষণ তেজে!
কোনো হুমায়ুনের পদস্খলন দেখার প্রত্যাশা নেই,
চাইনা চেপে ধরতে কোনো মোহময়ী মানবীয় টুটি, মহাকালের কাছ থেকে আজ ছাড়পত্র চাই
জীবন পূর্ণিমার রূপালি চাঁদ যে আজ পোড়খাওয়া- ঝলসানো রুটি।।