শ্রেণিকক্ষের গৎবাঁধা শিখণ শেখানো
প্রক্রিয়ায় মনকে আর আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে
রাখতে পারিনা; এই যে পারিনা তার কী
কারণ থাকতে পারে- হয়তো তা তুমি আঁচ
করতে পারো, আবার হয়তো পারো না।


তুমি আঁচ করতে পারো - এ কথার যেমন
যুক্তি আছে ভুরি ভুরি, আবার, আঁচ করতে
পারো না, সেটাও কি কম যুক্তিযুক্ত? মোটেও
না। আমিতো বরং অন্তর থেকে বুঝতে পারি
তোমার তা আঁচ করতে পারার কথা নয়।


সেদিন যখন সহপাঠীকে ঠাট্টার ছলে বলেছিলে
বাড়ি যাবো আজ, যাবেন আমার সাথে? তোমার
সহপাঠী অপারগতা প্রকাশ করেছিল বউয়ের
দোহাই দিয়ে। আর আমি? আমি হাফ ছেড়ে
বাঁচলাম যেন কোনো এক হিংস্র বাঘের থাবা
থেকে বেরিয়ে আসা এক আতঙ্কিত ও বিস্মিত
হরিণ শাবক। আমার সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে সেটা
দারুনভাবে আঘাত করেছিল; আঘাত করেছিল,
কারণ তোমার পাশে আমি কাউকে কখনো ঠাট্টার
ছলেও কল্পনা করতে পারিনি। যাক গে বাবা, ওটা
হয়তো একটু আধটু হৃদয়ঘটিত ব্যাপার যা তোমার
বোঝার কথা নয়, তাই তুমি সেটা ঘুণাক্ষরেও বুঝো নি।


আর আজকে এই যে ক্লাস ভালো লাগছে না,এটাও
মনের ব্যাপার, ব্যাপার হৃদয়ের; তাই এটাও তোমার
বুঝে আসার কথা নয়। তুমি বুঝবে না বলেই আমি
পৃথিবীকে বোঝাতে এসেছি যে, আমি পারছি না,
আমি পারছি না তোমাকে ছাড়া কিছু ভাবতে।
আমি যা শিখেছি,যা বুঝেছি, সেটা তুমি, সেটা
তোমার সারল্য, তোমার প্রাণবন্ত বিচরণ, সবখানে,
নয় শুধু হৃদয়ে।