ক্ষনিকের জীবনে কিসের এত মেলা
কৃষ্ণের বাসী, খালিদের অসি, আর বেহুলার ভেলা
উঁঠতে উঁঠতে সূর্য্য মোর ডুবলো যে বেলা।


মস্ত বিশাল রাজ্য রাজার অন্তহীন সাহারা
অসীম শূন‌্যতায় দিতে হবে পাড়ি, ওহে সর্বহারা
পাহাড় সম সম্পদ তোমার, সংশয় তবু ভিখারীর ধন ছাড়া।


চেয়ে দেখ ঐ গগনে, বিদায়ের ঘন্টা বাজে দুয়ারে
বেঁচে থাকার প্রয়াসে, রেখে যাও দুটি শব্দ সমুদ্র জোঁয়ারে
আর বাকি সব, যা নিয়ে আজ ব্যস্ত, সব যাবে খোয়ারে।


ভয় নেই সাহস নিয়ে দাঁড়াও, যদি থাকে হিম্মত
কাপুরুষের মতো বেঁচে থাকা নয়, হাজার কষ্টের জিল্লত
সংগ্রামী স্রোত পাড়ি দাও, যদিও বা যেতে হয় বিল্লাত।


স্বপ্নগুলোকে দুঃস্বপ্নে বেঁধে, হও কেন অসহায়
একনিষ্ট মনে চালাও শাবল, সৃষ্টিকর্তা হবেন সহায়
দর্প করে কেন ঠকাও নিজেকে, ওহে মহাশয়।


পৃথিবীতে আঁধার নেমেছে তাতে কি, শোন হে বলীয়ান
লণ্ঠন হাতে নেমে পর আজ, যায় যাক প্রান
ঘরে বসে থেকো না, জ্বলে ওঠো নিয়ে দুর্বার শ্লোগান।


সময় নেই এবার চলো, কোথায় ধনুক মসি
সপ্ত আকাশ যেতে হবে হেঁটে, সম্মুখে নরক রশি
দর্পনে দেখে নাও মুখ, হৃদয়ে বিশ্বাস, হাতে নাও অসি।


(পাদটীকাঃ খোয়ারে= ধুয়ে মুছে, জিল্লাত=যন্ত্রনা, বিল্লাত=বিলেত, মসি=কলম, অসি= তলোয়ার)


রচনাকালঃ ৩০-০৪-১২
প্রকাশকাল: ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২০ (২২-০৫-২০১৩) বুধবার
সময়: দুপুর ১২:৩১ মিনিট