সকালের শিশিরভেজা শ্যামলা ক্ষেতে রবির হালকা কিরন পড়েছে সবে,
আমি একটা আল ধরে হাঁটি আবরণ হীন পদে,
মাঝে মাঝে দমকা বাতাস আমার পাঁজরে ধরায় অগ্নি,
আমি ঐ শিশির বিন্দু দিয়েই তাকে স্তব্ধ করে রাখি,
কয়েকটা পক্ষী জীর্ণ ডালে করে গুঞ্জন,আমি তাদের সাথে কন্ঠ মেলায়,
চোখ বুজে আসে, আমাকে যেন কে গোগ্রাসে গিলছে আলতো ছোঁয়ায়,
কয়েকটা রঙিন ফড়িং,ঘাসে দের গালে করে চুম্বন,
আমি অনুভব করি সূর্য আর বর্ণালীর আলিঙ্গন,
চোখের সামনে ভেসে ওঠে হঠাৎ এক রঙিন দিগন্ত,
আমি ড্রয়িং খাতায় তুলি রঙে উপস্থাপন করি দুটি জীবন্ত চরিত্র,
তারা স্কুলে বইয়ের ভাঁজে চিঠি নিয়ে করে লুকোচুরি খেলা,
গগনে আলপোনা দিয়ে আঁকে পরি, প্রজাতিরা বসাই মেলা,
তারা বসে থাকে ঐ বিদ্যালয়ের পুস্করিনীর পাশের বেঞ্চিটাতে,
যেন হারিয়ে যায় শত আলোকবর্ষ দূরে, ডুবে যায় ভালোবাসার আহ্লাদে,
কিন্তু আজ কোথায় কী? সূর্যের কিরণ ঢলে পড়ে,পড়ে যায় বেলা,
আমি শুধু অবাক হয়ে দেখি পর্বত ও মেঘবালিকার খেলা,
দিগন্তে আর আসেনা কোনো ছবি, ভরে না আর আমার ড্রয়িং খাতা,
অভিমান গুলো শুধু কবিতা হয়ে ভরাই শূন্য পাতা।।