১।  
ছুটির আনন্দ অসীম
তৃষিত বেদনারা একটা রাস্তা খোঁজে প্রত্যহ
বৃহস্পতি সবার ভাল যায় না
শনির রাহু লেগে থাকে করুণ ললাটে
যা আপন মনে হয় আবেগে আবেশে
পর মুহুর্তেই স্বর্ণালী স্বপ্ন ঘোলাটে হয়
ছোট ছোট আঘাতে
পুস্পিত হৃদয় ভাঙে একদিন
দুর্গম পাহাড় ভাঙার শব্দে।


২।
কখনো স্বপ্ন দেখতে ভুলি না
মাঝে মাঝে ভুল স্বপ্ন বিচ্যুতি ঘটায়
জোয়ার ভাটার জীবন জলে
তবুও ছক আঁকতে আঁকতে
সময়কে ভালবেসে ফেলি
অলস থাকা পছন্দ  হয় না
কচ্ছপ দেখতে দেখতে
কিছুটা শিখে ফেলা কচ্ছপ গতি
তাড়াহুড়ো বলে বাস্তব জীবনে
আর কিছু নেই
কেবল মিসেস হওয়া ছাড়া।


৩।
বিবর্তনবাদ নিয়ে ঘুরে ফিরে সময়
যা কিছু ঘটমান তা সংক্রমিত
সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত অলক্ষ্যে
নীল বিষ জারক রস মেখে শিল্পিত হয়
শব্দ শব্দ খেলায় ব্যতিব্যস্ত
প্রসূতির ঘর জুড়ে নরপাপ
সহজিয়া সাধু বলে
এই খানে ফের জন্ম নেবো কবিতায়।


৪।
চলমান নদীতে উত্তাল ঢেউ দিলে
স্থির থাকার সামর্থ হারায়
কত কিউসেক পানিতে
উচ্চতার জোয়ার কত
জানে না বায়ুমন্ডলের ঘনীভূত মেঘ
নটরাজের মুদ্রা লুকিয়ে থাকে
ওষ্ঠ, অধরে, গলা, ঘাড়, করতলে।


৫।
সবকিছু নিয়েইতো সমতায় থাকা
সমঝোতা সমঝোতা রেওয়ামিল
জীবন জাবেদা অসম ভিড়ে
কচু পাতায় টলমল
তারপরও প্রাচীন পাখির শিস
দূর পাহাড়ের বুকে পরশের ডাক
সর্ষে ফুলের রেণু মেখে দিতে চায়।


৬।
যে জলে অতৃপ্ততার নি:শ্বাস বয়
তাকে পান করে শুধু তৃষ্ণা বাড়ানো
তাজমহলের ভেতরে
হাজারো শীৎকার জমা হয়ে আছে
একজন নরসুন্দর ঢের ভাল বন্ধু হতে পারে।

৭।
ভায়োলিন শুনতে শুনতে যোগসূত্র
একটা উচ্ছৃঙ্খল মেঘ সুখের কথা বলেছিলো
সেই থেকে দু’হাতের দশ আঙ্গুল
কার্পণ্য করেনি কাজ কর্মে
করতল ছুঁয়ে আত্মীয়তার গলাগলি
বাক্য বদল হয়েছে বহুবার
কী জানি কোন দুর্বিপাকে
খোলা আঙ্গুল গুলো
মুষ্টিবদ্ধ হতে পারেনি কোনোদিন !