বিপদে আছি-১


তারিখ : ২০/১২/২০১৭


কবিতা মনের পেশা। কারো কারো জীবিকার পেশাও। আমার কাছে দুটোই ঠিক। কবিতা লিখতে গিয়ে কত কিছু যে শিখতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে ভাবলে মনে হয় এখনো কিছুই শিখতে পারিনি বোধ হয়। কত যে অজানা। তবুও বিভিন্ন সাইটে বা পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত লেখায় প্রিয় লিখিয়ে বন্ধুদের সাথে লেখা বিষয়ক বিনিময় হয়।  আলোচনা ও সমালোচনা ‍দুটোই কবিতাকে তথা কাব্যসাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে। আমি সমালোচনা বেশী পছন্দ করি। কারণ হচ্ছে যতই সমালোচনা হবে ততোই নিজেকে ঋদ্ধ করার একটা সুযোগ তৈরী হয়। সব বই পড়ার দরকার নেই, কত বই পড়বো, কোনটা পড়া দরকার, কত বই পড়তে পারি না। সবকিছু মিলিয়ে সাধ্য মত পড়া তারপর সাথে অন্যের জ্ঞানের বাক্স থেকে আহরণ করা যায়। এটা আমাকে অনুপ্রাণিত করে সব সময়। সবার থেকে যা পাই তাই তো লেখার উপকরণ আমার। সেজন্যই আমি বন্ধুদের মধ্যে সমালোচক বন্ধুদের বেশী মনে রাখি ও পছন্দ করি। কেননা সমালোচক বন্ধুরাই আমাকে লেখা শেখায়। তারাই মূলত : আমার কবিতার শিক্ষক। যদি কোনো ভাল কবিতা লিখে থাকি তবে সে সমালোচক বন্ধুদের অবদান। আমিতো কেবল প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে যাই।


অনেক কবিতা পড়ি । বিষয় বা প্রকরণ পৃথিবীর তাবৎ বিষয় কবিতার অন্তর্ভুক্ত। বিষয় বা প্রকরণ নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার না হলেও কবিতার অন্য বিষয় অবশ্যই গুরুত্বের। কেননা কবিতা যে কোনো একটা বা এক কবিতায় একাধিক প্রকরণ থাকতে পারে।


কিন্তু কবিতার ব্যকরণিক কাঠামোকে আমি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করি। অনেক বড় বড় কবিস্টারগণ বলেন কবিতার আবার ব্যকরণ কী ? এটি আমি সমর্থন করি না। যারা বলেন তারা কিন্তু ব্যকরণ আত্মস্থ করেই বলছেন ব্যকরণ কিছু না। অথবা নতুনদের ভয় না পাবার অভয় বাণী হিসাবে বলেন থাকেন। কিন্ত আমি ব্যকরণকে কোনো জটিল মনে করি না। শুধু একটু পড়া এইতো। কবিতা ভালবেসে লিখলে ব্যকরণটাও ভালবেসে শিখতে হবে। যেনো কেউ বলতে না পারে ব্যকরণ জানা নেই। জেনে শুনে বর্জন করা ভাল। কেউ যুক্তিতে হারানোর ভয় থাকে না।


অনেকের লেখায় মতামত রাখতে চাই না। কিন্তু আমি স্বভাব বিরুদ্ধ হতে পারি না অন্তত: কবিতার বেলায়। তাই যা মনে হয় স্বাধীন মতামত রাখি। অনেকেই তা মেনে নিতে পারেন না। তারাও আবার বিভিন্ন যুক্তি দেন। কতকটা মানতে পারি , আবার কোনোটা মানতে পারি না। কেউ বলেন এটা ছন্দ নেই, কেউ বলেন না ছড়া না এটা কবিতা, অথচ লেখার ঢং বলে ছড়া সেখানে মাত্রা ও অন্তমিলে গোলোযোগ। অনেকেই বলেন না এখানে মিল টিলের ব্যপার নেই, এসব বুঝি না। লিখি মনের তাগিদে,  এটা আদর্শ ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি বলি লিখি মনের তাগিদে। কিন্তু লিখতে হবে যথাযথ ভাবে। তবেই না পরিশ্রম লাগবে কাজে। না হয় লেখার দরকার কি? সময় কবিতায় না দিয়ে ব্যবসা করলেওতো কিছু একটা হয়। বৃথা কোনোটাই না। কবিতা লিখতে হবে ভাল করে । নয়তো ভাল ভাবে মনোযোগে ব্যবসা । মানুষ হিসাবে যা করবো যথার্থ করে করার চেষ্টা করবো। এই অাধা  আধা ঘোলাজলে কোনোটাই হয় না। না ঘরে না ঘাটে। কবিতায় যুক্তি হোক যথার্থ। কবিতা যাপিত জীবনের নির্যাস। তাই কবিতার যথার্থ যুক্তি জীবনেও ছায়া ফেলে।


এই সাইটে অনেকের লেখায় ৫০-৬০, ৮০- ৯০ ছাড়িয়ে যায় মতামত। কিন্তু আমার লেখায় বোধ হয় সবচেয়ে কম। এটা কি ভাল হয় না তাই, নাকি বুঝা যায় না, সব কবিতা সব পাঠকের জন্য নয়, নাকি লেখাই হয় না, নাকি  কাব্য হিংসা বুঝি  না। আবার অনেকের লেখায় সবাই এতো এতো ভাল মন্তব্য করে কিন্তু দেখা যায় আমিই বোধ হয় একজন যে উল্টো মতামত রাখি। তখন নিজের কাছে প্রশ্ন জাগে তবে কি আমিই এখানে স্রোতের উল্টোমুখী ? নাকি সবাই ঠিক বুঝলো ; কেবল আমিই বুঝিনি । কে জানে --।


বিপদে আছি-২
তারিখ : ২৭/১২/২০১৭


ইদানিং সাইটে শুধু কবিতা পড়ি। মন্তব্য করি না খুব একটা। তবুও অনেক সুহৃদ বলেন আমার পাতায় আসবেন। তখন দায়িত্ব জড়িয়ে ধরে। তারপর হয়ত স্ব-যুদ্ধে স্বাধীন মতামত রাখি। সেখানে সবাই মানতে পারেন না। ঠিক করছি কোনো মতামত না করলে কেমন হয়। থাক না এভাবে চলুক । সাহিত্য সমৃদ্ধতার সংগা হয়ত একেক জনের কাছে একেক রকম। যা হয়ত আমার মত নয়।  


বিপদে আছি-৩
তারিখ : ২৮/১২/২০১৭


কবিতা সম্পাদনা সহজ নয়। সহজ যে কবিতার স্রষ্টা তার নিজের কবিতা নিজের কাছে সহজ সম্পাদনা করা। নিজের কবিতা নিজের যত খুশী প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত সম্পাদনা করা ভাল। তবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কখনো কখনো একজন ভাল পরামর্শক। যিনি জ্ঞানে তার চেয়ে অধিক অন্ত : কবিতা বিষয়ে। তা না হলে আনাড়ি সম্পাদক কবিতার এ্যানাটমি এমন বদলে দিবে যে কবিতা তার বাপের নাম ভুলে যাবে। অনেকে অবশ্য কবিতা সম্পাদনার পক্ষে নয়। কিন্তু আমি পক্ষে প্রথমত নিজে। তারপর একজন্য বিশ্বস্ত, জ্ঞানে আমার চেয়ে অধিক কবিতা বিষয়ে পারঙ্গম এমন পরামর্শকের সাহার্য্য নিয়ে সম্পাদনা পছন্দ করি। একজন দায়িত্বশীল লেখক অনেক বিষয় চিন্তা চেতনায় রেখে লেখেন। ব্যক্তিগত,  সংসার, সমাজ, রাস্ট্র, ধর্ম,  বৈশ্ব্যিক পরিস্থিতি সব মাথায় রেখে। অনেকে মনে করেন যা লিখেছি কারো সাধ্য নেই একটি শব্দ উল্টে দেয়। যা লিখেছি ওতো স্রষ্টার বাণী। এই যেনো কবিতার শেষ কথা। কিন্তু স্রষ্টার অমোঘ বাণীর পরে নিজের যে কিছু পরিশ্রম করে বন জঙ্গল সাফ করে বাসযোগ্য করতে হবে সেটা অার অনেকেই করতে চান না।


ব্যকরণতো অনেকেই মানতে চান না। কবিতার আবার ব্যকরণ কি। এই লেখায়ও একজন সুহৃদ এমনটাই বলেছেন। তিনি বলছেন শৃঙ্খলার কথা। এই শৃঙ্খলাটা কি ব্যকরণ পর্যায়ে পড়ে না ? কবিতা লেখা মোটেও সহজ কাজ নয় । তা না হলে পৃথিবীর সব মানুষই কবিতা লিখতো । অনেক যুক্তি দেখানো যায়। যুক্তি নানান দিক থেকে নানান রকম হতে পারে। কিন্তু সত্য হচ্ছে কবিতা লেখায় ব্যকরণ থাকতে হয়। ব্যকরণ জানতে হয়। ব্যকরণের ব্যবহার নানা ভাবে করতে হয়। ঊন্নসিকের মত ব্যকরণ নেই বলা খুব সহজ। দুর্বল লেখা এবং লেখককে প্রশ্রয় দিতে এটা বলা রাজনীতি। বড় মাপের কবিরা এই রাজনীতিটি করে থাকেন জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য।  কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে কবিরা ব্যকরণ খুব ভাল ভাবে জানবে। প্রয়োগ করবে নানা ভাবে বিশ্লেষণ করে। গবেষণা থাকবে কবিতার পরতে পরতে। তবেই তো আমার চেয়ে যে ভাল লেখে তার চেয়ে আমি ভাল লেখার চেষ্টা করবো। তার কাছে শিখবো। আবার তার চেয়ে ভাল লেখার জন্য আরো অন্য রকম চমক নিয়ে বেশী কিছু শিখে ভাল লিখবো।


একটি কবিতার প্রতিটি শব্দ হবে সুন্দর যথাযথ, একটি শব্দ একবারই ব্যবহার করবো । রিপিটেশন থাকবে না। নতুন শব্দ তৈরীর চেষ্টা থাকবে। শব্দকে চতুরমুখী অর্থে ব্যবহার করা, দর্শন দৃঢ়তর করা, অলংকার পরানো, নতুন নতুন উপমা তৈরী করা। দোলাচল সৃস্টি করে এমন শব্দের ব্যবহার না করা। আমি-তুমি যত কম ব্যবহার করা যায়। ক্রিয়াপদের ব্যবহার কমানো, সমুচ্চয়ী অব্যয় পদ বর্জন। অতি যতি মুক্তকরণ। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিস্কার প্রতিনিয়ত কবিতায় ব্যবহার করে কবিতাকে নতুন দিকে নির্দেশনা দিবে। শব্দকে বাঁকিয়ে নিজের আয়ত্বে এনে প্রয়োগ করা। যেনো শব্দের প্রতিটি ব্যঞ্জনা প্রকাশ করে শব্দের সুন্দর শাসনে শব্দ স্বাধীন। বক্রোক্তির তীক্ষ্ন ব্যবহার,  বাগধারার ব্যবহার, একথায় প্রকাশ, সমাস এসবের ব্যবহার কবিতায় আসবে। কেননা এই কবিতা এক সময় পড়ুয়াদের কাছে গেলে তারা কবিতা থেকেই ব্যকরণ শিখে নিবে। অথবা কোনো পন্ডিতের গবেষণা কবিতার কাল থেকে সমৃদ্ধতা নিরূপণ করবে। কোনো ভাবুক এই কবিতাকে নিজের জীবনের সাথে মিল খোঁজার চেষ্টা করবে। কবিতা হবে সার্বজনীন রূপ। যতটা সম্ভব তৃতীয় পক্ষের ভাষায়।


অনেকে বলে থাকেন কবিতায় কঠিন শব্দ ব্যবহার করে কবিতাকে বেশী কঠিন ও জটিল করে তোলা হচ্ছে। আমি বলি কবিতায় ব্যবহৃত শব্দ লেখক পাঠকের কাছে গিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে আসবে না । এটা ঠিক। কিন্তু কবিতা তো সবার জন্য নয়।  কবি যদি সার্বজনীন লেখেনও। কবিতা মুষ্টিমেয় পাঠকের জন্য। আবার সব কবিতা সব পাঠকের জন্য নয়। তাহলে জটিল কঠিন হলে কি ; আর সহজ হলেই কি ? ওটা বরং দুর্বল কবিতাকে অনুপ্রাণিত করা। তাতে করে দুর্বল লেখক ভাল লেখার যে স্পীহা তৈরী হতো সেটা তার আত্মতৃপ্তির জায়গায় গিয়ে ঢেকুর তোলে। সাহিত্য সমৃদ্ধতার সজ্ঞা বদলে তখন ঐ যে ব্যকরণ দরকার নেই , ওখানে এসে ঠেকে।


একজন সুহৃদ মতামতে বললেন দক্ষতা অর্জনের কথা। সমালোচক বা আলোচক একরকম দক্ষতা নিয়ে মতামত রাখে। বিভিন্ন দৃষ্টি কোণ সেখানে কাজ করে। কিন্তু
কেউ তো পড়তে চায় না। তিনি আবার বললেন সমালোচনা যেনো বুলেটে মোড়ানো না হয়। আমি একটি তৃণমূল কবি সংগঠন (অনুপ্রাস জাতীয় কবি সংগঠন) বিগত দশবছর কাজ করছি। কিন্তু সমালোচনা সোনা রূপায় মোড়ানো হলেও কোনো লাভ নেই। কোমলতা দিয়ে বললে ঘুমের ভান করে। আর একাডেমিক যোগ্যতা থাকলেও যা না থাকলেও তা। এক্ষেত্রে কোনো লাভ নেই। কিন্তু যার ভেতর ঈর্ষা করার সামর্থ আছে পরিবর্তন কেবল তীক্ষণ তীরে তারই কিছুটা হয়। আর সব বৃথা।
না পড়ে সবাই কবিতা লিখে মাইকেল, রবীন্দ্র, নজরুল, সুকান্ত, জীবনানন্দ, বুদ্ধদেব, সুভাষ মুখোপাধ্যায় নকল করতে করতে জান যায়। কবিতা বিচ্ছিন্ন না করে কেউ তার অগ্রজদের থেকে বড় হতে পারবে না। বড় হতে হলে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, বা শৈলী বা স্টাইল তৈরী করতে হবে।  কারণ বড় গাছের নিচে বড় গাছ জন্মায় না। তেমনি বড় মানুষের ছায়াতলে বড় হওয়া যায় না। বড় হতে হলে তাকে টপকিয়ে স্থানান্তর হতে হয়। এটাই সদা সত্য। কেউ মানুক না মানুক।  


বিপদে আছি-৪
তারিখ : ১১/০২/২০১৮


অনেক ভাল কবিতাও দু' একটি লাইনের জন্য বা শব্দের জন্য দুর্বল হয়ে যায়। কিন্তু কোনো কোনো কবিকে সেখানে দৃষ্টি দিতে বললে রেগে যায়। অনেকে মনে করেন নাজিল হওয়া ওহী। যা এসেছে তো এসেছে আবার সম্পাদনা কীসের ? আমারও অনেক দুবর্ল লাইন মাঝে মধ্যে লেখা হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক চোখে ধরা না পড়লেও কোনো এক সময় ঠিক নিজের কাছেই দুর্বলতা ধরা পড়ে। তখন আমি সেটি সংশোধন করে নেই। বিশেষ করে বই প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত। অনেক ভাল লেখা ও সাধু চলিত মিশ্রণের জন্য দুর্বল হয়ে যায়। কবিতার শুরুটা যে স্কেলে আরম্ভ হয় ঠিক শেষ পর্যন্ত সে স্কেলটি উধ্ব গামী হতে হয় ব্যাকরণিক বা ভাব তাল লয় বা দর্শণে। তাহলে ব্যারোমিটার ঠিক থাকে। কিন্তু কোনো জায়গায় স্খলিত হলেই পুরো কবিতাটা দুর্বলতায় ভোগে। হয়ত সেখানে কোনো ভাল লাগা শব্দ বা লাইন কারো কাছে ভাল লাগে। কিন্তু দুর্বলতাটা ঠিকই থেকে যায়। অনেক রকম বিশ্লেষণে হয়ত কবিতাটি ভাল লাইন থাকা সত্ত্বেও দুর্বল কবিতা হিসাবে চিহ্নিত হয়।  


কবিরা কবিতা লিখে এত তাড়াতাড়ি প্রকাশ করতে চায়।   যেটা আসলে ঠিক না। মূলত একটি কবিতা লেখার পর অনন্ত কমপক্ষে ১০ বার মনোযোগে পড়ে তারপর যাবতীয় সম্পাদনা করে তবেই প্রকাশ করতে পারলে দুর্বলতা কিছুটা কম থাকে। যত কবিতার বই প্রকাশ হচ্ছে বেশীর দুবর্লতায় ভরা। ১০০ বইয়ের মধ্যে প্রায় ৮০টাই দুর্বলতায় ভরা। আর কবিতা সবাই বুঝে না বলে পাঠক আরোও কম। মেলায় গেলে দেখা যায় কবিতার বইয়ের বেচাকেনাই সবচেয়ে দুর্বল অবস্থা।  


বাংলা অভিধান মুখস্থ রাখা খুব কঠিন । কিন্তু যারা কবিতা লিখবেন সারা জীবন নিরবচ্ছিন্ন ভাবে । তাদের অভিধানটা নিয়মিত পড়া চাই।   পড়তে পড়তে এক সময় মুখস্থ হয়ে যায়। কেননা মস্তিস্ক যদি চলন্তিকা অভিধান না হয়। তবে কবিতা যখনই লিখবেন তখন তো আর সাথে সাথে অভিধান রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। যদিও এখন মোবাইলে গুগল থেকে বানান দেখা যায়। কিন্তু বাংলা এখনো বেশী আপডেট হয়নি।   তাই অভিধান কণ্ঠস্থ রাখা দরকার।  


বিপদে আছি-৫
তারিখ : ১৪/০২/২০১৮...


(চলবে )