এই যে কত শত কোলাহল বৈকালীন রং চায়ের কাপে
সূর্য ডোবে সুভাসে বকুলের কান্ডজ্ঞানহীন মাথায়
বসন্ত্ আসে হৃদয় দুয়ারে চুপি চুপি
খুব কাছে ঠোঁট ছুঁয়ে যায় মন ছুঁয়ে যায়
কত কথা এখানে সেখানে বিচিত্র ভঙ্গিতে
আপ্রাণ স্পর্শ দেয় কীভাবে
কেউ জানেনা গহীন পরানের খবর
উচ্চ কণ্ঠে কোকিল ডেকে ডেকে ঢেউ তোলে
অশান্ত করে যায় সান্ধ্য আকাশ
মুখরা মুখের আবোল তাবোল
বাক্যের অকারণ ছড়াছড়ি চারদিকে
হাজারো ছবি সমুখে কেউ দেখে না কারোর মুখ;
হাভাতে স্বপ্নেরা ডানা মেলে উড়ে ধূসর মেঘে
আড়াল খুঁজে মরে খোঁজা খুঁজি চোখ
বাসন্তী এ তল্লাটে বারোমাস হামাগুড়ি খেলে
সবুজ নিমপাতায় এসেছে বসন্ত
টিয়ে পাখির চঞ্চুতে নেচে ওঠে
শিমুলের রক্তিম পাপড়িতে হলুদিয়া পাখি
বাসন্তী জোয়ারে ব্যাকুল পালক ছড়ায়
বসন্ত পুড়ে ছারখার আবসন্ত চোখে
আলোর উত্তাপে জ্বলে চিম্বক পাহাড়ের জল
বসন্ত তুমি যাও ফিরে যাও
যেদিকে যাবার কথা
অযথাই পথ রুদ্ধ করে কী লাভ
ফের জেগে ওঠলে সময় চেয়ে নিবো না হয়
এইবার থাক না লালফিতের মিলন মেলা
না কোন অভিযোগ নেই ;
নালিশের ডাকবাক্সটা খালিই আছে
যতটা জোটে আহ্লাদি সোহাগ চন্দন
পূজোর কাজে তা যথেষ্টই
এখানে নেই নেই দায় অভিমান
বালির মরুতে বসন্ত বেমানান অতলে ডোবে।