রীনা তালুকদার


মা যখন মার মায়ের কথা বলে
মার পাংশু মুখের দিকে তাকিয়ে অতীত খুঁজি
কথার ভঙ্গি খেয়াল করি
অজানা আশংকায় শংকিত হই গোপনে
মার মা এখন প্যারালাইজড
দূরত্বে বছরের ব্যবধান অসাাত অদূরে
মাঝে মাঝে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন মাকে দেখতে
মা নিজেই ইদানিং পুরো শরীরে
অষ্টিওপোরেসিসে রীতিমত যুদ্ধ করছেন
প্রথম দিকে ওষুধ খেয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া
জীবন যুদ্ধ বমি তারপর ক্লান্ত চোখ ... ঘুম
উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম ব্রোনড্রভা সুস্থ থাকার সঙ্গী
এভাবেই অসুখের সাথে এখন মার দিনাতিপাত
ডাক্তার বিএমডি রির্পোট দেখে বললেন-
হাঁটা চলায় ছড়ির সাহায্য নিতে পারেন
মা অসহায়ের ভঙ্গিতে আমার দিকে তাকালেন
তড়িগড়ি ডাক্তারকে বললাম- না না তা দরকার নেই
হাসপাতালের সিঁড়িতে উঠা নামায়
মা আমার হাত ধরতেই আমার ছোট্ট বেলা ফিরে আসে
শৈশবে আমার হাত ছিলো মার হাতে
এখন মার হাত আমার হাতের মুঠোয়
আমূল দিন বদলের দিন;
না কখনো স্রষ্টার কাছে অনেক সম্পদ চাইনি
আজ চাই ; খুব অমূল্য সম্পদ
কেবল মার সন্তান হবার যোগ্য হয়ে উঠি যেনো


মা মার মায়ের কথা বলেন খুব নরম ক্লান্ত সুরে
অসহায়ত্ব ফুটে ওঠে বাস্তবিক
আর আমি সুক্ষ তীব্রতর লুকানো যন্ত্রণা অনুভব করি
খুঁজতে থাকি স্বয়ং ভবিষ্যৎ ...।