বাজে শ্রাবণবারিষণ বাঁশি
_________________
মেঘের ওপর মেঘের স্তর
সজ্জিত থরে থরে
আঁধার ঘনায়ে বিজলি চমকিত
বর্ষার বারিধারে;
নির্জন কোণে ভাবে শঙ্কায়
রবি অস্তচলে
আলুথালু কেশে পিঙ্গল জটায়
বারিষ ঝরে পরে।।
চারিধারে ঘনায়ে চমকিত ধ্বনি
ত্রাসে গতিরোধে
ঈশাণ কোণে জমানো স্মৃতিতে
সিঁদুর মেঘে ঢেকে।।
মন্থন স্মৃতি জাগে নিশি
বিলাপন কহে সঙ্গোপনে
আহা!এ দিবস ক্ষণে
প্রভাত নবীন রাগে।।
নিভৃত নির্জন চারিধারে আজি
কেহ নাহি বাহিরে
ব‍্যথিত হৃদে প্রলাপ নহে
মন্হরে আজি অবসানে।।
কুন্ডলিনী পাকে দুখের জীবনে
অশ্রুহাসিতে ভুলে
ছলনা নয়গো জিগাসু অন্তরে
আলো আধারে মিশে।।
শোক-সন্তাপ ধূলিতে লুটায়ে
প্রাণে কথা কহে
অনুভব আজ লুপ্ত কুহরে
আনন্দের ফোয়ারা মেলে।।
ওই -গগনে আসছে ধেয়ে
জলীয় বাষ্পাকারে
গ্লানি মুছায়ে সুধা পানে
ঢালবে অমৃত বারিধারে।।
মিশিয়ে যাবে নিমেষে অন্তরালে
ব‍্যথিত যত সবেকার
লাঞ্ছনা -যাতনা ক্ষতি যত
সব ধূলিসাৎ মনোভার।।
ভঙ্গ হৃদয়ে জুড়িবে সহসা দৃঢ়
নব প্রভাতের রশ্মি
অলীক ভেদিয়া চিরন্তন রথে
বাজিয়ে শ্রাবণবারিষণ বাঁশি।।