দেখতে দেখতে কেটে গেল দীর্ঘ ঊনত্রিশটি বছর
কখন যে বিয়োগের খাতায় সময়টা লিখলাম তা বুঝতে পেলাম না
জীবন থেকে একে একে চব্বিশ ঘন্টা কেটে যাচ্ছে
আবার পরের চব্বিশ ঘন্টা  যোগ হচ্ছে
কিন্তু নিজের মেধা শ্রম যেন কিছুতেই যোগ্য প্রমাণ হচ্ছে না
কখন যে প্রাণবায়ু চলে যাচ্ছে সেও অধরা থেকেই যাচ্ছে
এর মধ্যে কার ও প্রাপ্তিতে  পরিপূর্ণ কারও থেকে যাচ্ছে শূন্য
দিন শেষে হিসেব খাতায় ওপারের জন্য কি হল তা ভেবে দেখিনি কখনো
যা হচ্ছে  হতে দিতে জীবন যেন ফাঁকির বহর বাড়িয়ে দিচ্ছি
শূন্য বিন্দুতে বৃত্তাকারে ঘুরছে জীবন।।
অলীক অভিনয়ে অভিনেতা অভিনেত্রী স্বরূপ সেজে যাচ্ছি রোজ
মনের অতল গভীরে প্রশ্ন সুধাই নে এই মঞ্চই কি দিন শেষে রয়ে যাবে?
নাকি রঙ্গমঞ্চ ক্ষণিক আনন্দের সামিল হবে!
তবে কেন এতো অপ্রাপ্তিতে ক্ষোভ?ধৈর্য‍্য কেন রয় না জীবনের খাতায়।।
ব‍্যর্থতার মাঝে কেন সফলতার দ্বার খুঁজে পাইনে?
তবে কি হতাশগ্রস্থতা ঘিরে রাখে অন্দরমহলে!
ভীতি কেন আঁকড়ে ধরে?
নিরুপায় কেন করে বিশ্বাসকে
আজও কেন স্হির রয় না মন?
একাগ্রতা নেই জীবন ঘিরে?
কর্মই স্রষ্টা ভুলতে বসি অন্ধ ভাবনায়
প্রবল বাসনার লেলিহান শিখা গ্রাস করে ছোট্ট জীবন ঘিরে,
সমীকরণের মিল খুঁজতে মরিয়া আধারে মাঝেও
তবে কি দিন শেষে কর্মই স্রষ্টা
এ ভাবনার অবসান হবে!!
চৈতন্য জাগ্রত হলে তবেই হবে
দিন শেষে হিসেব পরিপূর্ণ রবে।।


প্রিয় কবি বন্ধু আমি সবার কবিতা পড়ে মন্তব্য করতে পাচ্ছি নে,সদ‍্যজাত পুত্র ঘরে এসেছে আমার।।সবাই ভাল থাকবেন।।