(পাখি-রূপকের আড়ালে একটি
বিচ্ছেদ বেদনা আচ্ছাদিত)


আমার লেখা প্রথম গানটি
ভেবেছিলাম তোকে দিয়ে যাবো তোতা  
তুই তো সুনীলে উড়ে গেলি...
বুঝলিনা স্বজন-হারান দুঃখের বেদনা কি-তা?  


উড়ে গেলি কোন সুদূরে?
আর কেউ কি ছিল তোর নির্বোধ মনে?
ফাঁকি দিয়ে যাবি যদি...  
বাঁধলি কেনরে পাষাণ-স্নেহের বাঁধনে?


এই মাটিতে কেউ তো বাঁধনের-  
সীমানায় বদ্ধ হয়ে থাকেনারে চিরকাল
কিছু দিনের হাসি-কান্নার খেলা
সময় হলেই এসে দাঁড়ায় সেই মহাকাল।


তোকে রাখিনি কখনো শিকলে-  
বা দড়ি-বেড়ি দিয়ে বেঁধে কচি দুটি পায়ে  
বন্ধন ছিল খালি ভালোবাসার  
মুক্তি রেখছিলি তুই আড়ালে বুঝি লুকায়ে!


আমার লেখা প্রেথম গানটি আজ
তোর বিচ্ছেদে কেঁদে কেঁদে দরবারী-তে গাই
চাঁদ পাখি ফুলও এ রাগ গায়...
সে-রাগের রেশটি তোর ফেরার আশায় রেখে যাই।


জানি, এ মাটি থেকে একবার-  
মায়া কাটিয়ে দূরে গেলে ফেরেনা কেউ আর
আপন-রা কেঁদে মরে বেকুবের মতো  
অমোঘ কাল কান্না দেখে হেসে ফেরে বারম্বার।