(অনন্ত হচ্ছেন ঈশ্বর আল্লা গড ইত্যাদি। তিনি অসীম।
আর অসীম হলেও সসীম [জগৎ] কে বাদ দিয়ে তাঁর প্রকাশ
অসম্ভব। যদি সেই সসীমের মাঝখানে তিনি থাকেন,
তাহলে জগতের দীন মানুষের মাঝে তাঁর সাকার রূপটি
তিনি দয়া দ্বারা যেন প্রকাশ করেন।)      


অনন্ত-মহাব্যোম, কিছু কথা বোলব কি?  
না-কি তোমার কাছে নীরবতাটাই ভালো?  
আজ কিন্তু তোমার উত্তরটা চাই জোড়ালো।
নীরবতাতে আনন্দিত! সদুত্তরের আছিলায়?    
সাধন-অপেক্ষায় থাকলাম তো কতকাল ধরে
সময় চলে গেল প্রশ্ন থাকল নিগূঢ অন্তরে।  
অন্ন নেই,নেই চালচুলো,নেই তোমার গড়া
মাটির দুনিয়ায় একফোঁটা কারো ভালোবাসা
তবু ওরা ঘর বাঁধে,তবু বুকে নব নব আশা।  
ভেবে উত্তর দিও,’অসীমের সমষ্টি সসীম’না
হলে তোমার প্রকাশ টা কোথায় দাঁড়ায়?
তোমার মাঝেই সকলে আশার হাত বাড়ায়।
নীরবতা ভেঙে দিলাম- এবার এসো আমার
কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের মাঝখানে,তুমিকি অনুভবে?
সেটাই প্রকট করো অসহায়ের সহায়-সম্ভবে।
প্রকাশ করো সমতার প্রেম, উদ্ভাসিত হও-
দীন-হীন অনাহারক্লিষ্ট মানুষের মাঝখানে
তোমার হেমের প্রকাশ অক্ষয় রবে সেইখানে!  


(হেম> সোনা)