‘’রাধার কি হইল অন্তরে ব্যথা......’’
তাঁর সাথে বোঝ কি হে সখা
এই বিরহিণীর মনের কথা?


‘’বঁধু তুমি যে আমার প্রাণ......’’
জানি গো জানি সখা, তুমি-
মেরেছ আমারে প্রেমের বাণ।


‘’বঁধু কি আর কহিব তোরে...’’
কেন হে সখা!রাখোনা বক্ষে ধরে!


‘’আমার উঠিতে কিশোরী বসিতে
কিশোরী, কিশোরী গলার হার......’’
আমিও যে সখা এ ভুবনের মাঝে    
তুমি বিনা কিছুই জানিনা আর।


‘’বিদ্যাপতি কহে শুন বরনারী...
ধৈরজ ধরো তবে পাইবে মুরারী...’’
আর কতকাল তোমারে স্মরি...
এত ডাকি তবু কেন আসোনাগো হরি!


‘’দশন কুন্দ কুসুম নিন্দু; বদনে
জিতল শরদ ইন্দু......’’
রূপ নিয়ে কাঁদি একা এসো সখাবন্ধু।


‘’ত্বমসি মম ভূষণং ত্বমসি মম জীবনং  
ত্বমসি মম ভব জলধিরত্নম......’’
তুমি আমার ভূষণ তুমি আমার জীবন
তুমি বিনা কার সাথে হবেগো সঙ্গম!  
      
‘’এ কূলে ও কূলে দু-কূলে গোকুলে
আপন বলিব কায়!শীতল বলিয়া
স্মরণ লইনু ও দুটি কমল পায়...’’
সখা তুমি বিনা দিবস রজনী কাটে
হৃদয় আর প্রাণ করে হায় হায়... ।।


(তবুও অতি সংক্ষিপ্ত হল কাব্যটি।
কাব্য-প্রেমিক মাত্রই কবিতাটি পাঠ করবেন)