আকাশে শুক্লা চতুর্থীর এক ফালি চাঁদ
বিক্ষিপ্ত মেঘের আনাগোনা, তবে বৃষ্টির
আশা নিরাশারই নামান্তর...
কানে আসছে,’আমার হৃদয় তোমার আপন হাতের দোলে...’  
কাল ২৫শে বৈশাখ; হয়তো তারই মহড়া চলছে...
চার বছরের শিশুটাকে আমিও মন দিয়ে শেষ বার
দেখিয়ে দিচ্ছি ‘দারুণ অগ্নিবাণেরে’-র নাচটি।
সে একাবার পড়ে গিয়েও উঠে দাঁড়িয়ে বলল, ‘কাল আমি পারবই’


খুব হাসলাম, তারপর ভবাতে লাগলাম কেন প্রতি বছর
এই রবীন্দ্রজয়ন্তী? কেন এতো উৎসবের হাঙ্গামা?
তিনি এই উৎসব দেখলে কি বলতেন?
আজকের ভারতের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে
কিভাবে মেনে নিয়ে বটম পুস্ করতেন?
কিভাবে নিতেন ব্যান্ডে রবীন্দ্রসঙ্গীতকে?
কি দিয়ে বুঝ দিতেন তাঁর লেখাতে কপিরাইট
তুলে দেওয়ার মর্মান্তিক ঘটনাকে?
উজবুক হুজুগে বেপরোয়া মাতালি রবীন্দ্রজয়ন্তী...
সেই উৎসবে আমি নিজেও সামিল হবো যুগের সাথে
বৈমাত্রিক তাল ঠুকে...


(এই কবিতাটিকে কেউ খারাপ চোখে দেখবেন না বন্ধু।
আজকের পরিবেশকে ভেবে উত্তর দেবেন। আর ভালোমন্দ
নিয়েই তো জগৎ তথা দেশের মানুষ।)