সেই মাঠটাকে ভুলতে পারিনি,যেখানে আজ বড় আবাসন
এক চিলতে মাঠ যেন পুরনো লোক দেখলেই কাঁদে;
অভিমানী স্মৃতি বারবার বুকের আয়নায় ভেসে ওঠে ।
অনুরোধেও বেহায়া মন কথা শোনেনা...
ভুলে যেতে বলে মাথা কুটি দেয়ালে, তত যেন  
সংবেদনশীল হয়ে ওঠে পোড়া মন ভরা স্মরণ...


‘ছোড়দি’ বাবার মামি,বন্ধু সম মানুষটি...    
যত মজার গল্প, সিনামা, প্রেম-প্রোপজের চিঠি
সব কিছুই শেয়ার হত ছোড়দি আর দুই পিসির সাথে।
একটু সুযোগ পেলেই তার ঘরে, মাঠটা পেরিয়েই,
সেখানে আমরা সবাই মিলতাম সব ঋতুতেই...
কচি আম ,তেঁতুল,কদবেল মাখা ছোড়দির কাছে...
স্কুলের শাড়ি পড়া, বিয়েবাড়ির সাজ,দুটো কলা বিনুনি বাঁধা,
সখের রান্না,বৃষ্টির দিনে গানের আসর-
সবই চলত আদরের ছোড়দিকে নিয়ে।    


আবাসনে ভরা এক চিলতি মাঠ একদিন জানাল
তাঁর বাড়ি জমি সব বিক্রি হয়ে গেছে;
ছেলেরা তাঁকে ব্রাত্য করেছে, তাঁর ঠিকানা জামাতালয়।
অনেক প্রচেষ্টায়ও তাঁর ঠিকানা পাইনি আর কোনদিন,
ব্যথা-ঘুণ ধরা বুকে সেদিন জানলাম, ছোড়দি অমৃতলোকে।


এক ফালি মাঠটাকে জন্মভূমিতে পা দিলেই দেখি...
দেখি ছোড়দি বড়া ভাজে,গলা বাড়িয়ে মা-কে
‘বৌমা’ বলে ড্যাকে; তেমনই হাসে সে শ্যামলা মুখে
তেমনই আমায় ডাকে, ‘আয় সাজিয়ে দিই...’
আর সকলের মত আমি যে ছিলাম তাঁরও রাধারানী...