যদি ওই জ্বলন্ত মোমবাতিটা হয়ে উঠত খড়ো তপন    
জগতের অন্যায় অবিচার গুলোর সুষ্ঠ সমাধান হত
আর কিছু না হোক মানুষরা ন্যায় বিচারটা পেত।
যদি মোমবাতিটা দিবাকরের মতো জ্বলত দাউ দাউ
ওর স্পর্শে পৃথিবীর মানুষ সোনায় পরিণত হত
তামা লোহা নয়,সকলে সোনার প্রেমটা তো নিত!
যদি মোমবাতিটা দিবাকর হয়ে যেত, তাহলে ওই-
শিশু-শ্রমিকটা এঁটো বাসনের বোঝা নিয়ে হাঁপাতনা
শীতে ছেড়া বস্ত্র গায়ে দিয়ে আর কোনদিন কাঁপতনা।
ছেঁড়া জামা তপ্ত হত, ভয় পেত হীম-রক্তপিপাসু
ভয় পেত সমাজের উঁচুতলার উঁচু অট্টালিকার মানুষ
তাহলে মহান মানুষরা ফিরে পেত আসল মানের হুঁশ।
মোমবাতিটা দিবাকর হলে থাকত না আর পৃথিবীর
সাথে তাঁর পনের কোটি কিলমিটার বিশাল এক তফাৎ
ভয়াল কুটিলরা দরিদ্রকে আর করতনা কখনো পদাঘাত।