একদিন অজানা এক পাহাড়ী পথে হেঁটে চলেছিলাম
হাঁটতে হাঁটতে আবর্জনা ভরা একটা সিঁড়ি দেখলাম,  
সিঁড়ির ধাপগুলো খুব নীচু অবাধে পা রাখলাম।
সিঁড়ির প্রথম ধাপগুলো শুকনো পাতায় ভরা ছিল-
যত এগোতে লাগলাম ধপগুলো হতে লাগল পরিষ্কার,
কোথায় চলেছি জানিনা,তবু পেরচ্ছি হ’য়ে নির্বিকার।
এক সময় ভুললাম পার্থীব মায়া ভরা ঠুংকো চঞ্চল্-
মনের মোহ প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির লড়াইয়ের সব ব্যথা,
হারিয়ে গেল ফেলে আসা অযাচিত দুঃখ কান্নার কথা।
আলো শুধু আলো! টুনি লাইটের মতো তারা ঝিকমিক
ফুল!রাশি রাশি তারারা কিকরে হয়ে গেছে এখানে ফুল,  
হাত বাড়ালেই ধরা দেবে চাঁদ আর স্বচ্ছ আকাশের কুল।
যেখানে শেষ হয়েছে সিঁড়ি!সেখানে ফুলে ভরা গাছে বসে-
কে যেন বাজাচ্ছিল স্মিত হাস্য মুখে একটা কাঠের বাঁশি,
তাঁকে দেখে মুখে ফুটল আমার জন্মান্তরের অট্ট হাসি।    
  
  
(এই কবিতার বর্নণাটি আমার স্বপ্নে দেখা কিছুটা। আধ্যাত্মিকতা যাঁদের অগাধ , আশা করি এই কবিতাটি তাঁদের  বেশি ভালো লাগবে। এই সময়টায় আধ্যাত্মিকতা প্রত্যেকের মধ্যেই কম বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে আমার কবিতাটি স্বপ্ন- কল্পনা প্রসূত। )