(গল্পটি আমার নয়, আমার জীবনের এক আদর্শ
মহান মানুষের ডাইরি থেকে নেওয়া)
  


চাঁদটা আম গাছের আড়ালে উঁকি দিচ্ছে
এখনও আমার সামনাসামনি আসেনি
আমিও অপেক্ষায় আছি...
জানি চাঁদ শুধু ইমোশান আনে, ব্যাকুল করে মনটা;
উদাস হয়েই তাকিয়ে আছি চ্যাঁদের দিকে...


আরে! কে তুমি পালাচ্ছ আমাকে দেখে? দাঁড়াও...
মানুষটি দাঁড়াল, হ্যান্ডসাম ছেলেটি...
নামকি তোমার? এখানে কি করছিলে?
একগাল হাসল, পুলিশে না জানালে ও নামটা বলবে;
তাই হবে... ‘আশিস’ পদবী-হীন নামটা বলল।  
তুমি চুরি করেই সংসার চালাও?
উত্তরে জানাল, চুরি নাম মাত্র চলে...
মা নেই, বাবা পঙ্গু, বিবাহ যোগ্য বোন দুটি
ইতিহাস পড়াত কোচিনে,এক প্রেমে ছমাসের দণ্ড হয় শ্রীঘরে;
এখনও দিনে পড়ায়, তবে রাতে বদলার নেশায় বেড়য়...
যতদিন সে ‘চোর’ অপবাদের বদলা না মেটাবে, চালাবে এটাই...
চোখের আবেগীয় জলকে তালুতে ডলে দিলাম...
মাত্র দুশো টাকাতেই খুশি হল আশিস...
তবে, রোজ দেবার আশ্বাস দিতে পারিনি তাকে...
চাঁদ এবার আমার ষণ্মুখে,; বললাম, অহেতুক ইমোশানে
ফুল নাফুটিয়ে ঝরাও কেন? কোন উত্তর নেই...  
একটা ফ্রেশ স্মাইল দিচ্ছে ও, যেটা যুগযুগান্তরের পুরানো...