পদ্মা নদীকে দেখিনি, মেঘনাকেও্ দেখিনি কখনও
তবু ওরা টানে আমার কল্পনা-কৌতূহল ভরা অন্তর
ওদের কুলু কুলু ধ্বনি বুকের মাঝে বাজে নিরন্তর।


ওদের দেখিনি- যারা আশার ঘর বাঁধে নদীর কূলে
বর্ষা- বন্যায় ওদের কান্না শুনি বুকের অতল গভীরে
ওরা সাড়া দিয়ে যায় প্রতি বছর বধীর এই কবিরে।


পদ্মা-মেঘনার তীরে যে গাছগুলো হাওয়া দিয়ে যায়-
ওর শাখায় গান গায় রোজ কতো নাম নাজানা পাখি
সে গান শুনি আমি মনে,ভাবনায়, চোখে নাইবা দেখি!


পদ্মা মেঘনার উপরে সুনীলাকাশের সেই যে দিগন্তরেখা
যেন ভেঙে পড়েছে ভানু-শশীকে নিয়ে অথৈ স্বচ্ছ জলে
বিমুগ্ধ ভাবনায় বিভোর হয়ে দেখি স্বপ্না-তুরের ছলে।    


পদ্মার তীরে আমার ‘’রবি’’ আজও যেন জেগে আছে
বোটের উপর বসে কবি এখনও লিখে যায় কাব্য-গান
বাস্তবে নাইবা দেখলাম,কল্পনার চোখ জুড়িয়ে দেয় প্রান।