এমন সজল সঘন ভরা ভাদরে
কেন চলে গেলে কানহা দূরে?
বাঁশী বাজে বিরহের সুরে সুরে
কানহা কানহা এসো এসো ঘরে।


কে খাবে আর দুধ ননী মিঠাই
কানহাই যদি গোকুলের ঘরে নাই
ওরে ওরে যা-নারে তুই বড়াই
বল,কেঁদে কেঁদে সারা হল রাই।


শাঙন-কাজল মেঘের বড় ঘনঘটা
বিদ্যুতের শিখা বাড়ায় পীরিত-টা
থাকেনা মাথায় লাজের ঘোমটা
কে রোখে চাপা উচাটান মনটা!


দেখরে ললিতা বিশাখা সুচিত্রা
নারী- হৃদয় কত যে বিচিত্রা
বাদলে বাড়ে যে প্রেমের মাত্রা
যমুনায় ডুবে মরি,তোরা সাঁতরা।  


কানহাকে দিয়েছি মন-যৌবন প্রাণ
‘সে’ কি জানে ‘সে’রাধিকার ধ্যান?
কানহা ফিরলেই থাকবে রাইয়ের জান
নইলে হয় হোক, এ জীবন অবসান।


‘’রাইরে... কী আর কহিব আমি!
‘সে’ যে সকলের প্রিয়তম অন্তর্যামী
তাঁকে ত্রিভুবনের ঈশ্বর বলে জানি
তোমার সাথে তাঁর চরণে নমামি’’।