ক্ষুদ্র এক অর্কিড বীজ
বাতাসে ভাসতে ভাসতে,
দাঁড়াল এসে মহীরুহর কাছে
বলল হাসতে হাসতে।
মহীরুহ ভাই তোমার কোলে
দেবে একটু আশ্রয়,
পথ হারা আমি শুষ্ক
হয় ভীষণ ভয়।
মহীরুহ কহে দেব নিশ্চয়
বুকের কাছে আয়,
আমার রক্তে জাগাবো তোকে
কভু নেই সংশয়।
ধীরে ধীরে অর্কিড বীজ
শাখা প্রশাখা ফেলে,
হাজার প্রজাপতি সেই অর্কিডের
ফুলেতে পাখনা মেলে।
দুজনে তারা আনন্দে দুলে
খুঁশিতে গান গায়,
মহীরুহর বুকের সাদা রক্ত
অর্কিড চুষে খায়।
একদা দুই মৌমাছি এসে
বললো অর্কিড ভাই,
তোমার রূপের রহস্যখানি
আমরা জানতে চাই।
অর্কিড বলে অরন্য মাঝে
আমি বড়ই স্বাধীন,
রবির আলোতে আলোকিত আমি
নই কভু পরাধীন।
মহীরুহর কাছে ঋণী অর্কিড
মহীরুহকে সে ভুলিল,
মহীরুহর রক্ত প্রতি ধমনীতে
স্বীকার না করিল।
মুখোশে ঢাকা সমাজ মাঝে
অর্কিড কিছু আছে,
মহীরুহরা জেনেও করে ভুল
আশ্রয় দেয় কাছে।
মহীরুহ মন আকাশ সম
আলোর মতো স্বচ্ছ,
ভুল করেনা আশ্রয় দিতে
অর্কিডদের সম তুচ্ছ।