কুয়ার ধারে সখীদল সাথে
মত্ত খেলার লাগি,
কহিলে তুমি স্নিগ্ধ নয়ন
তৃষ্ণার জল মাগি।
চমকে সব তাকিয়ে দেখে
অপরূপ দীপ্তি সম!
হাসির ঝলক বিদ্ধ করে
অন্তঃকরণ মম!
সখীগণ সব উঠে নিমেষে
গমন করিল ধীরে
তৃষ্ণার্ত সে রইলো পরে
চাহিলনা কেউ ফিরে।
হাতে ছিল কলসি আমার
ভরা তৃষার জল,
না করি দ্বিধা করপুটে তার
ঢালিলাম অবিরল।
কহে সন্ন্যাসী কন্যা তোমার
কি তব পরিচয়?
অবনতে বলি কিরাত জাত
না করি সংশয়!
হাস্য বদন সন্ন্যাসী কহে
সবাই মানুষ মোরা,
জাত বলে কিছুতো নেই
হোয়োনা দিশে হারা।
শোনালো আরো অপূর্ব কথা
বললে তারপরে,
বাকিটা শোনাবো অন্যক্ষণে
মনেতে রেখো মোরে।
চলে গেল সে কোন প্রান্তে
সেই স্বর্গের দূত,
ঘৃণা করেনি কক্ষনো সে
কন্যা জাতে অচ্ছুত!
মধুর বাণী করিল বিহ্বল
নব জন্ম হলো,
সখীদের সাথে মেলেনা ভাষা
জীবন বদলে গেল।
অপূর্ব সুখ হৃদয়ে আজো
তাঁরি ছোঁয়া নিয়ে,
ধুলো ঝরেছে মনের কোণের
আলোর দিশা পেয়ে!