তুই ছিলিতো লাগতো মাতন সন্ধ্যা দীপের আগায়।
তুই ছিলিতো লাগতো দোলা প্রভাত শিষের ডগায়।
তুই ছিলিতো আশার আলো উঁকি দিত পূবে,
তুই ছিলিতো হাজার রঙে ছিলাম আমি ঢুবে।
তুই ছিলিতো জিতে যেতাম মহা ভীষণ রণে...
তুই ছিলিতো লক্ষ প্রদীপ জ্বলতো আমার মনে!
তুই ছিলিতো জোছনা সুখে নিকিয়ে নিতাম উঠোন!
তুই ছিলিতো হৃদয়ে ছিল সাতটি সুরের গঠন।
তুই ছিলিতো চোখের পাতায় নামতো মিষ্টি রাত,
তুই ছিলিতো সুখের সূর্যে ভরতো প্রতি প্রভাত।
তোর বিদায়ের সমন যখন পেলাম আমি হাতে,
পৃথিবী আমার গেল টলে ডুবি গহন রাতে!
দিলি কেন ফাঁকি আমায় করলি জীবন ব্যর্থ,
বাঁচার মানে পাইনা খুঁজে নাইতো তার অর্থ।
চূর্ণ হয়ে প্রতিদিন ধুলোর মাঝে মিলাই,
ক্ষত বুকে কেমন করে নতুন স্বপ্ন সাজাই!
এত কালের জমিয়ে রাখা হাজার স্বপ্ন মোর,
কফিন বন্দী হিম ঘরেতে আসেনা নতুন ভোর...
অচেনা হলো এই পৃথিবী আঁধার পথে একা,
স্মৃতির লতা জড়ায় পায়ে,চোখে ধ্বংস আঁকা।