পূবের বাতাস শনশন বহে
বাদলের মেঘ ধায়,
এখনি ঝরবে বাদলের ধারা
রাতের কালি ঘনায়।
নদীর ঢেউ উথাল পাথাল
ছলকে ছলকে নাচে,
মাঝিরে তোর নাওখানাটা
বাঁধরে কূলের কাছে।
ও চাষীভাই আয়রে ত্বরা
দের বুঝি খুব হলো,
লোহার গড়ন অঙ্গ তোর
ভিজে বুঝি আজ গেল।
দোয়েলটা দেখি ভিজছে বসে
পাখা তুলে ঝাপটায়,
কালো মেঘ ফুঁসছে ভারী
ধূসর বরণ জটায়।
বেনু গোয়ালা দুধের পাত্রে
যে জল মিশাবে আজ,
মুখের মধুর হাসির সনে
ভুলাবে নিজের কাজ।
চম্পার মা কোন সকালে
কাজের খোঁজে যায়,
যুবতী মেয়েটা ফ্যাকাশে মুখে
পথ পানে শুধু চায়।
কুটিরের পাশে কদম সেজেছে
মিষ্টি মধুর সুবাস,
বৃষ্টির ছাঁটে ধুয়েছে ধুলো
সবুজে মাখানো ঘাস।
ফুটো চাল বেয়ে কেবল ঝরে
বৃষ্টির ফোঁটা জল,
দুধের খোকা শুবে কোথায়
চিন্তায় প্রতি পল।
বাশেঁর সাঁকোটা নড়বড়ে বড়
বানে যদি সব ভাসে,
চিন্তা যেন দুয়ার ভেদিয়া
ঘুরে ফিরে রয় পাশে।
ভাবনাগুলো বর্ষার সাঁঝে
অকপটে দেয় নাড়া,
ওদের কথা লেখার সুতোয়
বাঁধছি ফুলের তোড়া।।