শিরের পাশে দখিন দুয়ার
   থাকনা আজিকে খোলা,
শীতল বায়ু ভরুক ঘরেতে
   কমাক বুকের জ্বালা।


তপ্ত অঙ্গতে সইবেনা আর
   আমার অবাধ্যপনা,
দুখানা বড়ি বাড়তি জুড়বে
   সেই কথা আছে জানা।


ঢুকুক আজ মাতামাতি করে
   শ্বাসের সবুজ বায়,
আঁধারের পার খনন করে
   মর্মের মাঝেতে ধায়...


মনে পরে আজ কভু  বসন্তে
   পলাসের গাঢ় লালে,
মনের সবুজ মিশতো নীলে
   ছুটতো খুশির পালে।


হলাম আমিতো অন্তঃপুরের
   পাঁচটা নারীর মতো,
ছুটতো সকাল সন্ধ্যা আমার
   কাজের মাঝারে শত।


সোনালী রূপালী আশাগুলোকে
   হৃদে বিছিয়ে ছিলাম
তাঁরই হাতে রঙিন আলোর
   পুড়িয়াগুলো দিলাম!


এমন করে চলে যায় দিন
   জোছনা মেখেছি রাতে,
ব্যালকুনির ঐ জানালা দিয়ে
   দখিন বাতাস সাথে!


দিগন্ত ছোঁয়চ রাজবাড়িতে
   আকাশটা  ছিল দূরে,
চাঁদটা তবুও গভীর ভাবে
   ছুঁয়ে যায় মন তীরে!


কেবলই মনের মাঝে হতো
   মুক্তি কোথায় পাই?
সুখেরই ঘরে বন্দিযে আমি
   আকাশটা পেতে চাই।


জানিতো দুঃখ ভরে রয় শুধু
   বেদনার ডালি ভরে,
সুখের মাঝেতে তাঁরই মুখ
   সেটা ছিল সত্যি ঘরে।


একদিন এক কালবৈশাখী
    উথাল পাথাল ঝড়ে,
ভেঙে পড়ে গেলো সাধের স্বপ্ন
   মিশলো ধুলার পরে!


বেলা শেষের রোদের মাঝেতে
   তপ্ত দেহটা ভেজাই...
ব্যর্থ ভাঙা ঘরের চারধারে
   আগাছাগুলো  সাজাই!


প্রতিটি পদ ঘিরছে অশান্ত
   আঁধার ঝরার বেলা,
কেবলই শুধু  তাঁর প্রতীক্ষা
   করবেনা কভু হেলা।