নদীর এপার হতে চেয়ে থাকি দূরে,
কোনোখানে ঠাঁই নাই আজ ভবঘুরে!
ওপারেতে ছিল গ্রাম নদী তীর ঘেঁষা,
ছোটো ঘরে ছিল সুখ ভালোবাসা ঠাসা।
সব কিছু ছিল পুরো গোলা ভরা ধান,
উঠান ভরিয়ে দিত শিউলির গান।
মাটির দেয়াল ছিল আলপনা আঁকা,
যত্নে ভরাতো বধূ গৃহ কাজে পাকা।
বুড়ী মা ছিল মোর মমতায় মাখা,
আড়াল করতো ঝড় বৃক্ষের শাখা!
আর ছিল চাঁদপনা এক সোনা মুখ,
তাকে দেখে কেটে যেত যত ছিল দুখ।
গাই ছিল লাল রঙা কি করুণ চোখ,
তাকে ছেড়ে দিতে কভু বুকে জাগে শোক।
শরতে দাওয়ার পার ছুঁয়ে যেত চাঁদ,
কে যেনো বিছিয়ে দিত মায়া ভরা ফাঁদ!
একদিন আধা রাতে এই নদী হায়,
ভাঙন ধরালো গ্রামে জোয়ারের ঘায়।
ভেসে গেল পুরো গ্রাম চাষ বাস মাটি,
সন্তান বধুঁ মাতা সব ঘর বাটী।
হয়েছি রিক্ত আজ কাঙালের ন্যায়,
নদী পাড়ে দিশাহারা নাইতো উপায়।
যা ছিল গিলে খেলো রাক্ষুসে নদী,
কূলে তাই আছি বসে কাঁদি নিরবধি।
খুব খুব ভাল লাগাল পাঠে্ মন ছুঁইয়ে গেল সাথে।
শুভকামনা সতত রইল সব সময়।
মুগ্ধ করলেন কবি ছন্দে, বিষয়ে আর উপস্থাপনায়।
খুব, খুব সুন্দর।
আন্তরিক অভিনন্দন জানাই প্রিয় কবিকে।
অসাধারণ জীবনবোধের লেখা শুভেচ্ছা প্রিয় কবি
উপস্হাপনা করে গেলেন প্রীয় কবি দিদি।
এই কবিতাটি পাঠ করে দারুন মুগ্ধ হলাম।
প্রীয় কবিকে একরাশ রজনী গন্ধ্যা শুভেচ্ছা।
অসংখ্য ধন্যবাদ ও ভালবাসা আপনার পাতায়।
ভালো থাকুন,শুভকামনা রইল।
প্রিয় কবির জন্য রক্তিম শুভেচ্ছা ও গভীর ভালোবাসা রেখে গেলাম।
ভালো থাকুন দিদি সব সময়!!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
অনেক ভালবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই । ভালো থেকো ।
অশ্রু ঝরিছে চোখে, সহিতে না পারি!
বানভাসি মানুষের হাহাকার
প্রিয় কবির ছন্দময় কবিতায়
হৃদয় স্পর্শী হয়ে ফুটে উঠেছে।
দারুন লিখেছেন, শুভ কামনা রইল।
নদীর ভয়াবহতা তার কাছে হয়েছে সত্যি বড়ো বেদনার,
তাই তো আজ তার দুচোখ গেছে অশ্রুতে ভরি
বসে আছে একা একা আপনা থেকে অশ্রু যাচ্ছে ঝরি।
প্রিয় কবির বিষাদ ভরা আবেগ ঘন কবিতায় মুগ্ধ।অনেক ভালো লাগা রেখে গেলাম কবির পাতায়।ভালো থাকবেন প্রিয় কবি সব সময়।
অসাধারণ মানবিক বোধের কাব্যে বিমোহিত!
শুভকামনা রইলো
কবিবন্ধুর জন্য অসীম---------
যতই পড়ি ততই লাগে ব্যথা
সঙ্গে একরাশ শুভেচ্ছা সুস্বাগতম প্রিয় কবি