নদীর এপার হতে চেয়ে থাকি দূরে,
কোনোখানে ঠাঁই নাই আজ ভবঘুরে!


ওপারেতে ছিল গ্রাম নদী তীর ঘেঁষা,
ছোটো ঘরে ছিল সুখ ভালোবাসা ঠাসা।


সব কিছু ছিল পুরো গোলা ভরা ধান,
উঠান ভরিয়ে দিত শিউলির গান।


মাটির দেয়াল ছিল আলপনা আঁকা,
যত্নে ভরাতো বধূ গৃহ কাজে পাকা।


বুড়ী মা ছিল মোর মমতায় মাখা,
আড়াল করতো ঝড় বৃক্ষের শাখা!


আর ছিল চাঁদপনা এক সোনা মুখ,
তাকে দেখে কেটে যেত যত ছিল দুখ।


গাই ছিল লাল রঙা কি করুণ চোখ,
তাকে ছেড়ে দিতে কভু বুকে জাগে শোক।


শরতে দাওয়ার পার ছুঁয়ে যেত চাঁদ,
কে যেনো বিছিয়ে দিত  মায়া ভরা ফাঁদ!


একদিন আধা রাতে এই নদী হায়,
ভাঙন ধরালো গ্রামে জোয়ারের ঘায়।


ভেসে গেল পুরো গ্রাম চাষ বাস মাটি,
সন্তান বধুঁ মাতা সব  ঘর বাটী।


হয়েছি রিক্ত আজ কাঙালের ন্যায়,
নদী পাড়ে দিশাহারা  নাইতো উপায়।


যা ছিল গিলে খেলো রাক্ষুসে  নদী,
কূলে তাই আছি বসে কাঁদি নিরবধি।