ঝুপসি অন্ধকারে ছিল সেই বিকেলটা।
আকাশ ছিল কালো মেঘাচ্ছন্ন।
মাঝে মাঝে দুএক ফোটা বৃষ্টি ঝোড়ো হাওয়া।
তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরছিল মেয়েটি,
বুকের মধ্যে জড়িয়ে কলেজের বইপত্তর।
ট্রেন থেকে অনেকটা পথ বাড়ি।
পথের দুই প্রান্তে কাউকে দেখা যায়নি সেদিন।
শুধু কিছু এলোমেলো মেঘ,
তির্যক বৃষ্টি ঝড়িয়ে জানান দিচ্ছিল।
হঠাৎ কয়েকজন যুবক পথ আগলে দাঁড়াল!
যেন জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে আসা,
একএকটা ভয়ঙ্কর ক্ষুদার্থ  দানব।
কি নোংরা কুৎসিত  ললুপ জিহ্বা তাদের!
যারা চিরকাল  নিজের স্বরূপ মুখোশের আড়ালে
ঢেকে রাখে চিনতে দেয়না  সমাজকে।
কখনো তারা মাষ্টার কখনো ডাক্তার কখনোবা…
সেদিন মেয়েটির বাড়ি ফেরা হয়নি।
পরদিন মেয়েটির লাশ জঙ্গলে পাওয়া গেল।
নরখাদকগুলোর নোখ দাঁতের দাগ সমস্ত শরীরে।
সেদিন রাতে ঘটেছিল মেয়েটির স্বপ্নের সমাপ্তি।
মেয়েটি কিন্তু বিচার চেয়েছিল শেষ যাওয়ার পথে।
বিচার চেয়েছিল এই মূক সমাজের কাছে।
বিচারের বাণী কেঁদেছিল সেদিনও,আজও...
আইন কিন্তু প্রমাণ চায় বলেছিল বিচারক।
সেদিনও প্রতিবাদ হয়েছিল মিছিলে।
ফুলের মালা মোমবাতিও জ্বলেছিল।
বাতাসে একটি শব্দই  চাই বিচার।


বিচারকি নরখাদকগুলোর মন থেকে
উপড়ে ফেলবে, হিংস্র কুৎসিত জঙ্গল?
হয়তোবা আবার বলি চড়বে!
তোমার আমার ঘরের রঙিন স্বপ্ন।
যত্ন ভালোবাসার জল ঢেলে জাগানো ফুল।
নষ্ট সমাজ, নষ্ট ভবিষ্যত!
বিচারের বাণী নিভৃতে পথে পথে কাঁদে।
বাতাসে কাঁদে, স্রষ্টার চোখে কাঁদে।
কাঁদছে মেয়েটির রক্তে মাখানো লাল ধুলোও...