আমি এক অপরিচিত নারী,
নাম একটা রয়েছে,
বাবা মা কবে কি নাম দিয়েছিল
আজ প্রায় ভুলতে বসেছি।
সেদিন আঁধার কার্ড করতে গিয়ে
অফিসার যখন আমার নাম ধরে ডাকলেন,
তখন চমকে উঠে বেশ খুশি হলাম।
মনের গভীরে কেমন এক দোলা দিয়ে গেল...
জানি আমার মতো নাম নাজানা বুনো ফুলের বাহার
পথের আনাচে কানাচে।
অথচ তোমাদের প্রত্যেকের ঘরে,
আমরা সকালনা হতে ছুটি।
কেউ ছোটে তোমাদের নবজাতকের
দেখাশোনা করার তরে,
কেউবা তোমাদের অসুস্থ শরীর সুস্থ করতে।
কেউবা তোমাদের রান্নার মাসি হিসেবে ইত্যাদি,ইত্যাদি।
না,তার জন্য কোনো ক্ষোভ নেই,
তোমরা যা পারিশ্রমিক দাও
তাতে আমাদের কোনোক্রমে চলে যায়,
কিন্তু যখন...
তোমাদের চরিত্রহীন লম্পট ছেলের লোভের চোখ
আমার ছোট্ট বারো বছরের নাতনীর উপর পরে,
তখনই আমাদের ত্রিশূল ধরতে হয়।
তাইতো সেদিন,
তোমার ওই চরিত্রহীন ছেলে, তার সঙ্গী সাথী নিয়ে
আমার কচি মা হারা নাতনীটিকে
হিঁচড়াতে হিঁচড়াতে যখন নিয়ে যায়,
তখন আমি  রুখে দাঁড়ালাম।
অসুর দলনী রূপে তাদের বধ করলাম...
জজ সাব... আমি ২২৭ নং কয়েদী।
তবে ফাঁসির আগে একটা শেষ আবেদন আছে,
আমাদের ঘরের বিটি সন্তানদের জন্য
একটা আইন করে দিন সাব,
তারা যেন বিকশিত হতে পারে নিশ্চিন্তে।
তানাহলে মৃত্যুর পরও আমার অনাথ নাতনীটার জন্য,
সত্যিই খুব চিন্তায় থাকবো!
নারী দিবসে আজ এটাই প্রার্থনা।