আজকে দেখি করেছো তোমরা আসরটাকে আলো
নতুন গল্প শুনবে সবাই লাগবে সবার ভালো।
ওহে সেন্টু, মিন্টু কোথায়? গেছে কুস্তির মাঠে।
গোপালের আজ হয়েছে জ্বর শুয়ে আছে খাটে।
গল্প কাকি, আজ তোমাদের রাজার গল্প বলবে।
সবাই মিলে মন লাগিয়ে চুপটি করে শুনবে।
ভীষন ভালো মানুষ ছিলেন উদয় দেশের রাজা,
সবার কথা ভাবেন তিনি সুখে থাকতো প্রজা।
শিক্ষায় ছিলেন গুনী মানুষ ভীষন তার প্রভাব।
আপন পর ভেদ ছিলনা সরল শান্ত  স্বভাব।
হঠাৎ সেদিন ভীষণ ক্ষেপে,বলেন তিনি রেগে।
প্রাসাদ আমার আঁধার কেনো? বাতি জ্বালাও আগে,
মন্ত্রী বলেন রাজা মশাই,চারিদিকেতো  আলো।
সব বাতি জ্বলছে দেখুন,গেছে আঁধার কালো।
গ্রামেতে আজ যতখানি,পড়ছে চাঁদের আলো
অর্ধেক পড়ে এই প্রাসাদেই, নেইতো রাতের কালো।
রাজামশাই তবুও কেন, পেলেন নাকো শান্তি,
চিন্তার মেঘ ঘনায় রাজ্যে,যায়না রাজার ভ্রান্তি।
ডাক্তার এলো অনেক রকম, পরীক্ষা করা হলো।
রোগ ধরতে পারলনা কেউ,দিনতো অনেক গেলো।
ছুটলো মন্ত্রী ছুটলো সেপাই,দেশের দূর প্রান্ত,
কিছুতেই রোগ সারে নাযে, সবাই হলো শ্রান্ত।
রাজা শুধু বলে ওঠেন, দেখছি কেন কালো?
জ্বালাও বাতি,জ্বালাও বাতি... প্রাসাদ করো আলো।  
এমনি করেই যেতে যেতে মাস দুয়েকের পরে,
কন্যা সন্তান জন্ম নিল প্রথম রাজার ঘরে।
শুভ সংবাদ শুনেই রাজার খুশি নাচে মনে,
হাজার হাজার আলোর রশ্মি জাগলো রাজার প্রাণে।
পূর্ণিমা চাঁদ  উঠলো যেন  প্রাসাদ খানি ভরে।
লক্ষ্মী এসে উঠে বসলো রাজার কোলের পরে।
আঁধার হলো জ্বালো বাতি বলেনা আর রাজা।
মেয়ের সঙ্গে খেলেন রাজা,করেন ভীষণ মজা।
রাজা বলেন করবো তোকে,দেশের লক্ষ্মী বাঈ।
প্রজাকে দেখবি সন্তানসম,এটাই শুধু চাই।।