কলেজের শেষ দিন স্মৃতির কোঠায় দীপ্ত...
পিরিঅডগুলো সেদিন ছিল অদ্ভুদ ক্ষিপ্ত।
অসময়ের পথে হাঁটে, ছিল বিষণ্ণ ক্ষণ।
তীব্র যন্ত্রণা ক্লাসময়,লিপ্ত প্রতি কোণ!
ঠিকানা আর ফোন নম্বর হলো দেওয়া নেওয়া,
মনে হলো চষা মাঠে উঠে কালো ধোঁয়া
প্রথমের সেই চকচকে পোষাক নেই কারো,
কৌতূহলী দৃষ্টি গুলো আজ বিষণ্ণ বড়ো।
নেই গল্প,মান অভিমান, দুষ্টুমি ঝগড়া।
ঘিরে ফেলে মরা নদী মরুভূমির খরা।
কাটছিল তাল ক্ষণে ক্ষণে থেমেছিল ছন্দ,
ভিন্ন পছন্দে ধরা দিত সবার ভালো মন্দ।
জাহির করা,গুটিয়ে থাকা স্বভাব ভিন্ন ভিন্ন
কেউ উত্তাল স্রোতস্বিনী, ঘুড়ির ন্যায় ছিন্ন...
কেউ স্বপ্নে জোছনা রাত,কেউ হবে মাষ্টার।
কলেজের সিঁড়িগুলোর মুখ আজ ভার।
বিদায়তো দিতে হবে,এটা তার জানা,
সিঁড়িগুলোর সহ্যে ছিল মিষ্টি দুরন্তপনা।
নীল শাড়ি মেয়েটির খুব কাছে এসে
কবিতার ছন্দে জানায় ছেলেটি হেসে,
আয় মোরা প্রেম নায়ের অতলেতে ভাসি
ভালোবাসি তোকে শুধু হোসনা পরবাসী...
মেয়ে বলে খুব ধীরে ছেলেটির কানে।
দের বুঝি হয়ে গেছে বেসুর তুই প্রাণে!
কলেজটাকে চির সত্য শেষ বিদায় দিতে,
সবার বুঝি চোখেতে জল পারেনি ধরতে।
জীবন যুদ্ধে চলার পথ সবার ভিন্ন ভিন্ন,
ছড়ায় পুঁতি জীবন পথে মালা আজ ছিন্ন।


দেখা হলো আরবার পরিধানে শাড়ি,
চলেছিল দূর পথে ছুটে ট্রেন গাড়ি...
বলে ছেলে তোকে লাগে চার্চের মেরী
মেয়েটির মুখ আজ খুব যেন ভারী।
বলে বস দূরে নয় ঠিক তার পাশে,
স্মৃতিগুলো কাছে বসে নাড়া দিয়ে হাসে!
ছোট ছোট বহু কথা…চলছিল ক্ষণ,
মেয়েটির ফিকে হাসি উচাটন মন।
ভেজা নীলে তুই আজ আকাশে হরষ!
ছেলে বলে সেথা তুই রামধনু ……পরশ!
কালো শূন্যে বাকি কথা বুঝি ঢাকা রয়...
ট্রেন চলে শনশন  চোখে নেই ভয়।