কবি বসে খাতায় সাজায় সারাটা নীল আকাশ।
ধূসর চোখের দৃষ্টিখানা কেমন পাগল উদাস।
কল্পনাতে ডুব দিয়ে সে মুক্ত তুলে আনে।
গাঁথে মালা নিজের মনে কিংবা ছড়িয়ে ফেল।
মেঘকে করে আপন ঘোড়া ছুটায় আকাশ পানে।
দুঃখগুলো বেঁধে রাখে পায় জীবনের মানে।
উপোস পেটের কষ্টগুলো পুঁথির তলায় চেপে।
ছন্দে ছন্দে ভরায় পাতা খুশীর বৃষ্টি ঝাঁপে।
পত্নী এসে বলেন কবি পুঁথি তুলে ভাবুন।
ঘরেতে আজ বাড়ন্ত সবই কথাটা মনে রাখুন।
কবি কহে এই এখুনি যাচ্ছি আমি প্রিয়ে।
নীল পাখিটা সবে মাত্র আসছে চাঁদটা নিয়ে।
কথার উপর কথা সাজায় বাস্তবতা ভুলেন।
খানিক বানী শুনে পত্নী বাহির পথে গেলেন।
কেমন করে দিন যাবে কাঁধে ধারের বোঝা।
দোকানীর সব কড়া কথায় নীরব ধৈর্য্য সাজা।
কোনোক্রমে একটি বেলা জোটে তাদের আহার।
ফাঁকা ঘর বিকায় সব আছে পুঁথির বাহার।
ঘরে অভাব জানি প্রিয় তুচ্ছ মনে করো।
কবি বলেন সবার চেয়ে মনের শান্তি বড়।
নিত্য দিনের একই রুটিন কবি পত্নি ভাবেন।
কবে হবে অভাব দূর ছন্দে জীবন পাবেন।
দুপুর বেলায় পাশে এসে কবি পত্নী বলেন।
কালকের অধেক গল্প কবি আজ পুরো করেন।
গল্প মাঝে ভাসিয়ে হৃদয় দুজন যেনো হারায়।
ভুলে গেছে অভাব দুজন খুশী শুধু ভরায়।