এই মেয়েটা শোননা হেথায়
হাতে ফুলের ডালা!
কোথায় যাস সাত সকালে
চুলে জুঁইএর মালা?
লাল রঙের পাড়ে ঘেরা
দুলছে শাড়ির আঁচল,
কপাল জুড়ে চাঁদের শোভা
মানানসই কাঁচল।
বালিকা বলে যাচ্ছি আমি
ইস্কুলেরি মাঠ,
বিরাট মঞ্চ হলো সেথায়
হবে কবিতা পাঠ।
রবি ঠাকুর বসে আছেন
রাজার আসন পরে,
শোনাবো তাকে গান ছড়া
রাখবো ফুলে ভরে।
বলি তারে সঙ্গে নিবি
আমিও জানি গান,
বয়েস না হয় একটু বেশী
ভরিয়ে দেব প্রাণ।
আচ্ছা বলতো, রবি ঠাকুর
কোন দেশেরই রাজা?
সৈন্য সামন্ত আছে জানিস
কোথায় তার প্রজা?
ফোঁকলা দাঁতের হাসি দিয়ে
মেয়েটি রয় চেয়ে!
ভাবনার মেঘ ক্ষণিক ঘিরে
মনের আকাশ ছেয়ে!
খানিক পরে বলে মেয়ে
করছো সময় নষ্ট,
দিদিমণি দেবেন বকা
জানি আমি স্পষ্ট।
রাজা তিনি সবার মনের
সবার তিনি গর্ব,
এই কথাটা বলেন মা যে
হননা তিনি খর্ব।
মেয়েটি তখন দ্রুত পদে
বলে গেল চলে,
রাজার চেয়েও হয়তো বড়
কেউ যায়নি ভুলে।।