বিকর্ণটাই ঝলসে ওঠে বাকি গুণী স্তব্ধ শব!
   কালো সভার মাঝে সেদিন কপটাচার করলো রব।
অন্ধ রাজার হস্তিনাপুরে কেউ হলোনা শান্তি দূত...
   প্রতিবাদী বিকর্ণ এক সেও ছিল রাজার পুত।
বিকর্ণ যদি হতো রাজা কেমন রাজ পাল্টে যেত!
   মহাভারত রচতো কি আর,সবাই সত্য বিচার পেতো!!
ভুল হলো তার বাপটা গাধা  অন্ধ ছিলো দেহে মনে,
   আর্ত জনের মিনতি তার পৌঁছালোনা বধির কানে!
নিরানব্বইও অন্ধ সাথে,একটি যে বীর রোধে পথ,
   আর কেউ নয় বিকর্ণ সে, ছুঁড়ে দিলো উচিত মত।
সভায় কত বুড়ো নক্ষত্র, চিন্তাধারা এলোমেলো,
   আঁধারে সভা ঢেকে যেতেই বিকর্ণ হয় চাঁদের আলো...
পাঁচ পাণ্ডব মাটির পানে যেন মৃত কাঠ পুতুল!
   বিকর্ণটাই জেগে ছিল ফুটিয়ে ছিল খরায় ফুল!
দীপ্তি তার ছাপিয়ে গেল সভ্যতার ঐ প্রতি শাখে,
   খলশালীর প্রখর দাপট, পিছিয়ে গিয়ে ত্রস্ত তাকে!
সমাজে যদি সত্য রাজে, জানবে কোথাও বিকর্ণ রয়...
   সভার উচ্চে তুলবে গলা রক্তে তাদের নেইতো ভয়।
আমরা যারা বাবুই পাখি বাসার তরে জায়গা খুঁজি,
   বিকর্ণকেই খুঁটি ভেবে আপন আলোয় জমাই পুঁজি।
মনে প্রাণে উলঙ্গ যে রাজ বিবেক সেথা নগ্ন রয়,
   সভ্য মানুষ চিনতে তাদের কোথায় যেন কষ্ট হয়!
রীতি  নীতি  চৈতন্য যেথা বর্বরতায়  বিছিয়ে রয়,
   ধ্বংস হবে সব কিছু তার অপেক্ষায় রয় মহা সময়!
আমজনতা আমরা সবাই খেটে খাওয়া মানুষ যথা,
   জীবিত দশায় একবার বলো রাজা তোমার কাপড় কোথা!!