হস্তিনাপুরের রানী আমি পাঞ্চালী নাম মোর।
রণক্ষেত্রে এসেছি  কর্ণ ঘনায় আঁধার ঘোর।
পাঁচ পতি আছে মোর হৃদয়খানা  জুড়ে।
প্রতিশোধের নেশায় আজ অন্ধ দুচোখ ভরে।
নক্ষত্র খচিত আকাশ তলে তুমি মৃত্যু যাত্রী।
সয়ম্বর সভায় এসেছিলে মোর পাণিপার্থী।
ব্যক্তিত্বের ভারে দৃঢ় ছিলে বীর শ্যেন দৃষ্টি।
বিদ্ধ করেছিলে হৃদয় মম তুমি অপূর্ব সৃষ্টি।
শুনলাম তুমি সূত পুত্র অনুমতি নাহি পেলাম।
বিধাতা বেঁধে দিল মোরে অপূর্ণ রয়ে গেলাম।
পাঁচ খণ্ডে ভাগ  হলাম পাঁচ  মোর  স্বামী।
পাশা খেলার কটূকথা ভুলে গেছি আমি।
তোমার এই শেষ যাত্রায় সামিল হয়েছি আজ।
আজও তোমায় শ্রদ্ধা করি নেইতো কোনো লাজ।
শেষের দিনে অনুমতি দাও রাখি শ্রদ্ধা চরণে।
মুক্তি তুমি পাবে আজ ভুলবে সবই মরণে।
বীর পুত্রে এ সংসার ভুলবে নাতো হায়।
জিতিয়ে দিলে ধর্মকে তুমি অধর্মের পরাজয়।
নিয়ে যাও আজ তুমি  চোখের অশ্রু জল।
এ জল একান্ত আমার  নেইতো এতে ছল।