ক্ষুধাতুর ওগো চাই ভাত সাথে একটু নুন,
আম্মা  মোর ভুখা আছে বাপ হয়েছে খুন।
ঘর নাই দেশ নাই এই পৃথিবী কার?
মানুষ মোরা সংশয় জাগে রাষ্ট্র নেয়না ভার!
উত্তর দাও খোদা তুমি কেন এতোখানি যুদ্ধ?
জানি নিশ্চয় তুমি পরাধীন কারাগারে অবরুদ্ধ!
ছুটছে তীর বেয়নেট যত শিকারের জীব মোরা?
পালাতে পালাতে ক্লান্ত মোরা হয়েছি দিশাহারা...
বড় বিষ এই বাতাসেতে সজাগ দৃষ্টি চোখে!
ক্ষিদের জ্বালা মনের আগুন পুড়ছি রোজ শোকে।
রাতের শিশির মধু চাঁদটা তোদেরতো শুধু নয়,
কেড়ে নিবি তোরা সূর্যের আলো এতো বড় বিস্ময় ...
ক্ষিদের জ্বালা সহ্য হয়না শিশুর কচি পেটে,
খুন করলি অধিকার সব দেশ রক্ষক বটে।
সৃষ্টি কর্তা একই ছাঁচ দিলেন সবার তরে,
তোরা শুধু ঘৃণায় মোড়া জাতের বিচার করে।


নাফ নদী রক্ত স্নাত রোহিঙ্গার চোখের ধারায়,
চোখ খুলে দেখ সুসভ্যতা ওদের পায়েতে বিলায় ...
মাতার আঁচল ধুলায় লুটায় ভগিনী রক্তে সিক্ত,
সন্তানের দগ্ধ লাসের গন্ধে অসহায় জাতি রিক্ত ...
নিথর নীরবতা ওদের পাড়ায় তারারা ব্যথায় লীন,
ঘনায় জীবনে রাত্রির ঘোর প্রতিবাদ ভাষাহীন!
কেবা আছেগো দুখের সাথী কাণ্ডারী ধরো হাত,
ডুবছে তরী ঝড়ের ঘায়ে দাও বিপন্নদের সাথ...
অসহায় আজ রোহিঙ্গা জাতি মূক ইতিহাস লিখবে,
ধ্বংসলীলায় ক্ষত বিক্ষত তাদের ছবি আঁকবে,
মানুষের মাঝে জাগুক বিবেক শুভ অন্তরাত্মা
বন্ধ আজ হোক সর্বনাশ সব বাঁচুক ওদের সত্তা।