সদা জাগ্রত প্রহরী আমি, সীমান্তের কাঁটাতারে।
যতই আসুক হীমেল হাওয়া, টলাতে পারেনা মোরে।
খামে আসে মায়ের চিঠি সুদূর গ্রামের থেকে।
বলে খোকা কেমন আছিস... রোদ্দুর হীম মেখে।
বয়েস হয়েছে অনেক বেশি, দিনতো নেই বাকী।
তোর বউযে আনমনা রয়, কষ্ট কোথায় রাখি।
আদরে সোহাগে বউতো তোর,আমায় ভরে রেখেছে,
আমার ছিল মেয়ের অভাব, পূর্ণ করে সে দিয়েছে।
প্রহরী আছিস দেশ মায়ের,সীমান্তের পথে তাই।
দুর্যোগগুলো সাবধানে ফেলে,বেঁচে শুধু ফিরে আয়।
যোগ্য জবাব বুলেটে দিস,কাঁপি সদা ভয়ে আমি...
হিংসা হবে কবে শেষ, সেটাই মনেতে ভাবি।
যুদ্ধ কভু শেষ কথা নয়... এপথে মুক্তি কই...
শান্তির পথ দেখাবে দিশা, এযে চিরসত্যই।
এত হানাহানি অস্থিরতা, সীমান্তের পথে রয়।
কবে হবে এই দুনিয়ার, হিংসার পরাজয়।


খোকা বলে সীমান্তে বসে, চিঠিতে লিখি তোমায়,
জানিনা মোর সুদূর গ্রামে,কবেযে ফিরবো হায়...
সত্নান মোর ভূমিষ্ট হবে, ভালো করে বোলো তারে।
তার পিতা কান পেতে রয়, সীমান্তের কাজ ঘাড়ে।
রক্ষা করে দেশের মাটিকে, দেশ মাতার সম্মান।
ভয় নেইযে শহীদ হবার, হেসে দেবে তুলে প্রাণ।
আসে কভু বুলেটের ঝাঁক, দেহ যদি ক্ষতে ভরে।
আমার পথের অপূর্ণ কাজ, সে যেন শেষ করে...
মৃত্যু মিছিল নিয়ে যায়,ঐ সীমান্তের শেষ পটে।
তোমাদের ছবি এই বুকেতে, ডুগরে কেঁদে ওঠে।
আকাশের গায়ে জেগেছে আজ, নতুন জলছবি!
শান্তি বৃষ্টি ঝরবে আবার জাগবে নতুন রবি!
নিলাম শপথ চেয়ে আকাশে গোধুলির অস্ত রাগে,
বেঁচে রবো মা কথা দিলাম, তোমার যাবার আগে।