তখন আমি অনেক ছোটো
জলে ডুব দিতে,
একটা হাত ধরা থাকতো
বাবার শক্ত হাতে।


নিশ্চিন্তে করতাম খেলা
জলের ভিতর গিয়ে,
ধরে থাকতো বাবা আমায়
শক্ত বাঁধন দিয়ে।


জীবন নদে ঢুব দিতে
স্রোতে যখন হারাই,
বাবার ওই আঙুলগুলো
সদাই খুঁজে বেড়াই।


ছোটোবেলায় খেলার ছলে
বুঝিনিতো হায়,
বিশ্বাসের ওই শক্ত বাঁধন
আজ কোথায় হারায়।


চেষ্টা করতাম ছাড়িয়ে নেবার
বাবার হাতের বাঁধন,
শক্ত হয়ে উঠতো ততো
যতই আসুক কাঁদন।


জীবন নদীর স্রোতের ঘায়ে
তলিয়ে যেতেই বুঝি,
নেইতো কেউ পাশে আমার
বাবার আঙুল খুঁজি।


বাবার আপন হাতের মাঝে
ছিলনা কভু স্বার্থ,
তুফান আর ঢেউরা বুঝি
হয়ে যেত ব্যর্থ।


বাবার মতো বিশ্বাসের ছোঁয়াচ
আজোও যখন খুঁজি,
বারে বারেই ব্যর্থ হয়ে
ফিরি ভালোই বুঝি।


হোঁচট খেয়ে পড়ি যখন
হাজার কাঁটার পরে,
কেউ বলেনা বাবার মতো
ওঠ হাতটা ধরে।


বুঝতে পারি দূর আকাশে
ঝাপসা চোখে তাকাই,
শক্ত হয়ে ওঠ আবার
বলছে বাবা আমায়।


জীবনের এই সমুদ্র পারের
গর্জনে বাবার ধ্বনি,
একা বসে বালির উপর
ঢেউ সব গুনি।।