আদ্যানাথের ছোটো ছেলেটি
ভীষণ ডানপিটে,
পাড়ায় কারো স্বস্তি নেই
পটলার অশান্তির চোটে।
সারা দিন আগান বাগান
সদলবলে ঘোরে,
পড়াশোনার বালাই নেই
অতিষ্ট অত্যাচারে।
গুরু মশাই রোজ এসে
নালিশ করে যান,
বড়দের কারো ধারধারেনা
রাখেনা কারোর মান।
আদ্যানাথ গিন্নীকে ডেকে
বলে বারে বারে,
কবে পটলা শুধরাবে আর
শান্তি আসবে ঘরে!
রোজ একথা শুনতে শুনতে
পটলা ভাবে মনে,
শান্তি কে জানতেই হবে
আনবো তাকে টেনে।
পটলা ছিল খেলায় মেতে
কথার আওয়াজ পেলো,
কে যেন শান্তি নামে
চেঁচিয়ে ডেকে গেল।
শান্তি নাম শুনে পটলা
খুশিতে মনে বলে,
এবার বাবার দুঃখ যাবে
শান্তিকে নিয়ে গেলে।
একেই বুঝি খুঁজে বাবা
ধরে নিয়ে যাই,
এইনা বলে হাত পা বেঁধে
ধরলো শান্তিকে সবাই।
বললো তারে চলো এবার
খুঁজছি বহুদিন,
তোমায় পেলে যাবে হতাশা
আসবে বাবার সুদিন।
শান্তি নেই শান্তি নেই
ঘ্যন ঘ্যান করে,
ঘাপটি মেরে ছিলে কোথায়
নিয়ে যাব ঘরে।
চার বন্ধু মিলে পটলা
শান্তিকে দাওয়ায় রাখে,
বলে বাবা ধরে এনেছি
রোজ খুঁজতে যাকে।
তেড়ে বাবা আঁতকে উঠে
কাকে ধরে এনেছিস!
এযে আমার বন্ধু শান্তি
কষ্ট ওকে দিয়েছিস।
তাড়া তাড়ি সব বাঁধন
খুলে ফেলে দেয়,
গায়ে মাথায় ছিটায় জল
ক্ষমা চেয়ে নেয়।
আদ্যানাথ বলে ভাই
ছেলে আমার অবাধ্য,
কেমন করে বাগে আনবো
নেইতো মোর সাধ্য।
পটলাকে বলে তেড়ে মেড়ে
পিটিয়ে লাল করবো,
ধরতে যদি পারি তোকে
ঘরে বেঁধে রাখবো।
বন্ধুকে আমার কষ্ট দিলি
আয় তুই কাছে,
ফের পালাচ্ছিস হতচ্ছাড়া
মার খাস পাছে।
দূর থেকে পটলা বলে
সবেতে আমার দোষ?
বুঝতে আমি পারিনিতো
এতেও তোমার রোষ।
ভালো করে বলি যখন
সে চায়নি আসতে,
তাইতো তাকে বেঁধে আনি
সাবধানে খুব আস্তে।
বাবা বলে এযে আমার
বন্ধু শান্তিনাথ,
শান্তি মানে এনয় শান্তি
করলি একে আঘাত।
তেড়ে মেরে বলে শান্তি
ওটা তোর ছেলে?
ভাগ্যিস তুই আমার বন্ধু
নয়তো দিতাম জেলে।