নাম ছিল যীশু ভিখারি
বয়েশ পঁচিশ হবে,
গত শীতে মা হারালো
একা রইলো ভবে।
জাত গোত্র কিছু ছিলনা
কুড়িয়ে পাওয়া শিশু,
অভাগী মা নাম দিল
ফুটপাথের যীশু।
যীশুর মা গরীব ছিল
ছিলনা কেউ তার,
সন্তান পেয়ে মনের খুশির
বাঁধ ভাঙে তার।
মা সারাদিন পথে পথে
ভিক্ষা করে বেড়ায়,
দিনের শেষে বস্তির ঘরে
সঙ্গে দিন কাটায়।
বয়েস মায়ের ছিল বেশ
গেল স্বর্গ রথে,
একা হলো যীশু ভিখারি
রইলোনা কেউ সাথে।
একদা এক শীতের ভোরে
দরজা খুলে দেখে,
সদ্যোজাত কাঁদছে দুয়ারে
কেউ গিয়েছে রেখে।
চেঁচিয়ে ডাকে পুরবাসীকে
কার সন্তান হেথা,
আমি গরীব কেমনে পালিব
রেখেছো তাহারে বৃথা।
উত্তর তার দিলনা কেহ
চেঁচিয়ে হলো ক্লান্ত,
শিশুটি মিটিমিটি চায়
শেষে হলো শান্ত।
তুলে নিল পরম আদরে
বলে অভাগা ওরে,
এলি দ্বারে দরিদ্র ঘরে
কেমনে পালিব তোরে।
বড় করে শিশুটিকে সে
পরম যত্ন করে,
পিতা পুত্রে কাটাতো দিন
সুখ দুঃখতে ভরে।
স্কুলে যায় শিশুটি মহম্মদ
ভিখারি পদবীখানা,
মার কাছে এই পরিচয়
যীশুর ছিল জানা।
শিশুটি এখন দশ বছরের
স্কুল যেতে গিয়ে,
তুলে আনলো অন্য শিশুরে
রাস্তায় কুড়াতে পেয়ে।
বলে যীশু ওরে মহম্মদ
কারে আনলি ঘরে,
বলে বাবা, আমার ভাই
কৃষ্ণ ডাকিব তারে।
পরম পুরুষ বিস্ময়ে চায়
মর্ত অপরূপ সাজে!
কৃষ্ণ, মহম্মদ, যীশুরা এখানে
এক বেদীতে বিরাজে!
মন্দির মসজিদ গির্জা আজি
গায় সাম্যের গান,
তুচ্ছ তবু ওদের ঘরে
পবিত্র তীর্থস্থান।