রাতের  কুয়াশা মাখা মায়াবী চাঁদ...
নিস্তব্ধ  নদীর ওপাড় থেকে ভেসে আসা
গজলের অপূর্ব টুকরো সুর,
পিছে ফেলে আসা রঙীন কুড়ি আমার!
সবকিছু  ভালোলাগা মেশানো প্রথম বসন্ত!
মনে আছে, তুমি এলে রাঙা পলাশ হয়ে!
বাতাস দখিন দুয়ার খুলে
প্রেমকে বরণ করে নিল!
আমাদের দোল দিয়েছিল,বলেছিল আসবো!
মনের ধানসিড়ি নদীর পাড়ে!
যে রাতে বসন্তর চাঁদ  আসবে...
সেদিন রাতে ট্রেনের কামরায়
আমরা দুজন জোৎস্নার আলোয়
বাইরের  পৃথিবী দেখছিলামl
সে আলোয় কোনো কৃপণতা ছিল না।
মনের প্রতিটি কোনায় ছিল সজীবতা!
মনে আছে নাকি ভুলে গেছো!
না,আজ আর প্রশ্ন করবোনা...
তোমার মোটা গ্লাসের আড়ালের দৃষ্টি
অনেক পরিণত, বসন্তকে হয়তো ভুলে গেছে...
চলোনা আরোও কিছুটা কাল!
পায়ে পায়ে মিলায় কুড়ি, একুশের স্বপ্নে!
কিছুকাল মনের  মণিকোঠাতে ভাসি!
সময়ের কাজ ছিল কুড়িকে  জাগানো,
সে কাজ সে করে গেছে।
মানুষের মতো মন নেই তার!
বলবে না কখনো, এসো আমার হাত ধরো,
ফিরিয়ে দিয়ে আসি কুড়ির হাতে!
প্রথম ফুটে ওঠা বসন্ত প্রাতে!
কুড়ি এক মায়াবী রাতের উদাসী চাঁদ।
সদ্য ফুটে ওঠা নন্দনের পারিজাত।
কখনো চঞ্চল নদীর স্রোত।
কখনোবা মাতাল ঝড়…
পাড়বে তুমি, আজ কুড়ির
সবটুকু সজীবতা এনে বেঁধে দিতে আমার এই আঁচলে...
চাবির গোছাটা বড্ড জড়, পুরানো!
খুলে ফেলতে আজ কোনো দ্বিধা নেই।।