আরে ও কেষ্টা?
দেখতো দেখি,কে এসেছে দ্বারে?
ঘুমটা আমার হলো মাটি,ওর কান্নার স্বরে।  
কেষ্টা বলে,তাড়িয়ে দিলেও যায় না...বড় বালাই।
ভোর হতে কানাই ব্যাটা মোরে এসে জ্বালায়?
হুজুর ওর ছেলের নাকি হয়েছে খুব অসুখ।
আবোল তাবোল বকছে শুধু কাঁপছে ভয়ে বুক।
ওদের গাঁয়ের হসপিটাল সব  ঠাসা ভরপুর।
এ গাঁয়েতে এলো তাই,থাকে পলাশপুর।
অনুমতি দিলে হুজুর,হসপিটালটা পাবে।
তানাহলে ছেলেটাতো প্রাণে মারা যাবে!
হুজুর বলে আরে ও কেষ্টা?
পলাশপুর বিধানসভায় মোর এলাকায় পড়ে?
তানাহলে বিদায় কর যতই ও থাক জ্বরেে।
কেষ্টা বলে না হুজুর এতো শিমুলপুর...
দুই গাঁয়েরই ব্যবধান রয় বহুত দূর।
কঠিন স্বরে বলে হুজুর,এক্ষুনি দূর কর...
সকাল হতে যত ঝামেলা আসে মাথার পর।
কেষ্টা বলে, রোগটা ডেঙ্গু,কথাটা মাথায় রাখুন।
মশা দ্বারা বাহিত রোগ,একটুখানি ভাবুন...
মশা বুঝি ভাবেনাতো এলাকারই কথা,
কে যে মালিক কে চাকর,নেইতো মাথা ব্যথা!
হুজুর বলে, এতো সাহস তুচ্ছ ঐ মশার?
পাঁচিল তুলেদেনা মাঝে হবে না আর পার!
কেষ্টা বলে, মশা কিন্তু উড়তে ভলোই পারে।
শেষে দেখুন মশাভায়া কাকে চেপে ধরে!
এর চেয়ে অনেক ভালো ছাড়পত্র দিন।
ঘরতো নয় হসপিটাল, মিটিয়ে দেবে ঋণ।
খানিক বাদে ভেবে হুজুর অনুমতিটা দিলেন,
মশার পরে রুষ্ট বড়ো সেটাই বলে গেলেন।।