কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল সেদিন ভোরবেলা
লাল সূর্যটা উঁকি মারছিল পূব দিকে,
কনকনে শীতে সময়মতো জাগতে
তারও বোধহয় খুব আলস্য লাগছিল !
নবপ্রাতের তরুন গুলোর চোখেছিল এক উদ্দীপনার ছোঁয়া
যথা সময়ে পৌঁছে গিয়েছিল তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সেখানেই  ছিল কবিতার সকাল
হাতের মুঠোয় ধরা ছিল তাদের
খুব যত্নে হৃদয়ের কালিতে লেখা কবিতা...
আজ যে ভীষন প্রিয় একজনের মৃত্যুদিন
তাকে নিবেদন করতে হবে শ্রদ্ধার অর্ঘ্য!
তাইতো মন আর কলম দিয়ে তৈরী
কবিতার মাঝে সাজিয়েছিল শ্রদ্ধার বাণী
যে মানুষটার প্রতিটি রক্ত বিন্দুতে ছিল অহিংসা
কচি কচি তরুন মুখগুলোতেও সেদিন ঝড়ছিল শান্তির বাণী!
কবিতার অঙ্গন ভরে উঠেছিল শান্তির ফুলে ফুলে


হঠাৎ দুঃসহ কালো মেঘের মতো এলো দুর্যোগের কালো ছায়া,
লাল সূর্যটা হঠাৎ চমকে উঠেছিল,
মুহূর্তে আধার ঘনালো ওদের পৃথিবীতে,
বুলেটের ঝাঁক ধেয়ে এলো শান্তির আঙিনায়,
সবকিছু চূরমার হয়ে গেলো নিমেষে।
বুলেট এফোর ওফোর করে দিল তরুনগুলোর মাথা,  
একে একে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল তারা...
ক্রমে ঘনিয়ে এলো হীম শান্তি!
কবিতার অঙ্গন জুড়ে তখন মৃত্যু মিছিল!
কবিতার খাতাগুলো তখনো ধরাছিল শান্তির হাতে!
একেই বলে নাকি জঙ্গী হামলা...
বর্বর রাক্ষসগুলোর হাতে শহীদ হলো  
সদ্য ফুটে ওটা তাজা তরুনগুলো,
মানবতা আবার আঘাত পেলো বুলেটের ঘায়ে,
নিঝুম রাতের তারার মাঝে তারা জায়গা নিল!
মায়েদের গভীর কান্না ধ্বনি  পৌঁছে গেল চাঁদটার কাছে!
তাইতো সে সেদিন বড্ড ফিকে ভারাক্রান্ত ছিল!


কেন শান্তির কবিতা পড়তে গিয়ে নিথর লাস হয়ে গেল তারা?
এ প্রশ্নর উত্তর বারবার খুঁজছে পৃথিবী!
খুঁজছে বাতাস খুঁজছে  আকাশ…



পাকিস্তানে জঙ্গী হামলা হয়ে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে...
সেই প্রসঙ্গে লেখা    মুজিবুর রহমানএর মৃত্যু দিনে