আমি এক সওদাগর যে ব্যবসা করে দিন কাটে l
যাহা পাই নতুন কিছু কিনে ফেলি হাটে ঘাটে l
ভেবেছিলাম এ জগতে সবই কিনবো মূল্য দিয়ে l
ঘরটা আমি করবো বোঝাই মুঠো মুঠো রত্ন নিয়ে l
কেনার পরে ভেবেছিলাম শ্রেষ্ঠ আমার ঘরখানি l
এ ঘরে যা আছে ধন রাজার ঘরে নেইতো জানি l
হঠাত এক বন্ধু এসে ডাকলো মোর নাম ধরে l
সারা দেহে দৈনতা তার চোখের পরে খুশি ঝড়ে l
কাছে পেয়ে বাল্য সাথী মনে খুশির চমক জাগে l
শুধাই এক প্রশ্ন তোরে জবাব খানা চাই আগে !
ঘরে আমার অঢেল সুখ বিষাদ কেন মনের ঘরে ?
কোন রত্ন কিনলে পরে  আসবে শান্তি মনের পরে l
বন্ধু বলে তুইতো সুখী, সুখ তোর ঘরের মাঝে l
শান্তি দিয়ে স্বপ্ন দেখি, শান্তি মোর ঘরে রাজে l
আছে আমার জীর্ন কুটির মাধবীলতা দিয়ে ঘেরা l
নাইতো বিষাদ নাইকো দুঃখ স্বপন দিয়ে শুধু মোরা !
বন্ধুর ঐ বাক্যগুলো  মনের পরে দিল নাড়া !
অর্থ ছাড়া হয় শান্তি কথাটা যেন কেমন ধারা ?
কিনতে গেলাম হাটের মাঝে কেবল শুধু শান্তি চাই l
বিকলোনা কেউ শান্তি খানি কোথায় তা খুঁজে পাই ?
কেউ আসেনা বেঁচতে  হেথা পরমঐ অপার্থিব শান্তি,
পথের পড়ে বসেই থাকি চোখে নামে দেহের ক্লান্তি l
মুঠো মুঠো রত্ন রাজি বৃথায় সব তুচ্ছ মানি !
বিনিময়ে কেউ বেচেনা রত্ন দিয়ে শান্তি খানি !
ঝোলা ভরা জমা করলাম সেযে শুধু নকল পাথর !
পরশ পাথর খুঁইয়ে আমি হলাম আমি ব্যথায় কাতর l
যতই মূল্য ছড়াও তুমি শোধরানোতো যাবেনা আর ,
সময় এসে মাঝ খানেতে তুলেছে এক কঠিন পাহাড় l
লুটিয়ে আমি কাঁদি পথে অপার্থিব শুধু শান্তি আশায় !
জীবনে যা জড়ো করলাম মূল্যহীনতা আজ মনে হয় l