সুচেতনা  ফিরে এসো তুমি !
রক্ত নদী পার হয়ে
বারুদের গন্ধের পাশ দিয়ে !
শতাব্দীর ধ্বংসর লীলাভূমি টপকে
মৃত্যু বিভীষিকা তুচ্ছ করে !
ফিরে এসো ভাঙা ভাঙা বিবেকের মাঝে !
মনুষ্যত্বর দ্বারে এক একটা বহ্নি হয়ে l
সুচেতনা একদিন জন্ম হয়েছিল ঐ বঞ্চিত হৃদয়েও
ধিকধিকে তুষের অনলে !
ফিরে আসুক অনল আবার
ক্ষুদিরাম বাদল বিনয় দীনেশ রূপে l
আমার ভারত মাতার প্রতি ঘরে l
মৃত ধ্বংস পিঠে জন্ম হোক সুচেতনার বহ্নি শিখা l
ধ্বংস প্রাপ্ত সভ্যতার মাঝে জাগুক নতুন পৃথিবী l
তোমার প্রতীক্ষায় প্রতিদিন এই ধরা  ধূলি ,সুচেতনা...
ক্ষুদিরামের পাথর চোখের স্বপ্ন মিথ্যে হলো আজ !
মিথ্যে হলো সংগ্রামীদের রক্ত...
যখন দেখি হিংস্র উন্মাদনায় লোভের দাঁত ফুটায়
সভ্যতার পিঠে ক্ষমতাশালীরা l
তাদের বিকৃত মানসিকতার স্বীকার
আমার ভারতের সাধারন শীতল মানুষগুলো l
তখন খুব লজ্জা হয় ...
ঝোপ ঝাড়ে আমর মা বোনের লাশের গন্ধে যখন
আকাশ বাতাস কেঁদে ওঠে !
তখন খুব লজ্জা হয় ...
যখন জঙ্গী হয় দেশের কোনো ভাই ,
নেতাজীর পাথর চোখের দিকে তাকাতে
তখন খুব লজ্জা হয় ...
জালিয়ানওয়ালা বাগের পথে রক্তের দাগ
আজও মুছে ফেলেনি বর্তমানের চাকা !
ঝাঁসির রানির তলোয়ারের  গর্জন আজও বাতাসে  ...
ফাঁসির দড়ি গুলো ভোলেনি সংগ্রামীদের নির্ভীক চোখ ...
তবে কেন এ দেশের লোভী ক্ষমতাশালীরা
বিবেককে বাঁধতে পারেনা  হৃদয়ে ?
মানুষকে দংশন করে লোভের দাঁতে ?
রাখতে পারেনা হৃদয়ে মনুষ্যত্বর সুচেতনাকে !
তবে ফিরে এসো সুচেতনা বহ্নি শিখা হয়ে !
অন্তরের আলোতে সৃষ্টি হোক প্রতিবাদ !
অন্যায়ের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠুক অনল !
জ্বলে ভস্ম হোক  যা কিছু অন্ধকার l
তবেই স্বাধীনতা বাঁচবে l
তবে এসো সুচেতনা ,আমরা তিতুমীরের বাঁশের কেল্লায়
আর একবার মিলিত হই আগুন নিয়ে ...
এবার আর পরাজয় হবে না আমাদের l
তিতুমীরের দলের মুক্তিকামী সৈনিকের
রক্তের জলন্ত বহ্নি শিখায়
অন্যায় অন্ধকার মুছে যাবে !
হবে প্রকৃত স্বাধীনতার সূর্যোদয় ll