রবি ঠাকুরের দুটো কথা মনে পড়ে ,
একলা চলো ,যদি কেউ নাহি রয় l
লোকটির কি জানা ছিল সত্যটা ?
তবে তার অন্তরাত্মা জানতো !
লোকটি মৃত্যুটিকে আগলে ছিলো l
কেউ পাশে এলো না তার ,
তার মেয়েই একমাত্র শব যাত্রী আজ l
ঘরেতে অভাব,  তাই হয়তো মৃত্যু !  
তাইতো আর দেরি করেনি
কন্যাটির চোখের জল ধুয়ে দিচ্ছিল ,
চলার দীর্ঘ পথটিকে আর ,
সদ্য মৃতা পত্নীর লাশটাকে
ঘাড়ে তুলে নিয়েছিল অসহায় মানুষটি l
চিন্তায়  বোবা হয়েছিল কান্না গুলো ,
সময় পেলে সে কাঁদবে !
সন্ধ্যার আকাশে খুঁজবে তাকে !
এখন করবে তার পতির দায়িত্ব l
একদিকে মেকিং ইন্ডিয়া গড়ছে মানুষ l
অপর প্রান্তে মেকি সভ্যতার ঘাড়ে ,
অসহায় আর একটা ভারতের লাশ !
আহা কত ভাগ্যবান পত্নী সে ,
আদরের ভালোবাসার মানুষটি তার ,
শত অভাবেও ছাড়ার কথা ভাবেনি
তার সুখ দুঃখের সাথীকে ,
লাসের ভারটা তুচ্ছ তাই
লাসটাযে তার সন্তানের মায়ের l
যতক্ষননা লাশটা ধুলো হচ্ছে ,
যতক্ষননা আকাশে বাতাসে মিশছে !
ততক্ষন সে তার একান্ত আপন l
অসভ্য সমাজের সে প্রকৃত সভ্য মানুষ l
বর্বর  সমাজের সে প্রকৃত চেতনা l
অন্ধ সমাজের প্রকৃত আলোর দিশা l
আধুনিক সমাজে সে প্রকৃত শিক্ষার হাতিয়ার l
অভাবের তাড়নায় হয়তো বাইরেটা মলিন l
ভিতরে মনুষ্যত্বর  শিক্ষায় সে আলোকিত l